জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কলকাতায় টাকার পাহাড়। পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Municipal Recruitment Scam) বিনিয়োগের সূত্র ধরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) লেক টাউনে (Lake Town) অবস্থিত 'রেডিয়েন্ট' (Radiant) নামক একটি সংস্থার মালিকের বাড়িতে এবং তাদের গোডাউনে তল্লাশি চালাচ্ছে। তারাতলায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা পেল ইডি। টাকার পরিমাণ ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে, এখনও চলছে গণনার কাজ। গতকাল থেকে এই অভিযান চালাচ্ছে ইডি। এখনও অভিযান চলছে। এটি রেডিয়েন্ট নামের একটি কোম্পানির গোডাউন। তারাতলায় গতকাল সকাল থেকেই তল্লাশি শুরু করে। বিকেলে যায় লেকটাউনে ওই কম্পানির মালিকের বাড়িতে। গতকাল থেকে এই অভিযান চালাচ্ছে ED।
মঙ্গলবার রাত থেকে এই অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই সূত্রেই বুধবার তারাতলায় ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তল্লাশি অভিযানেই সন্ধান মেলে ওই বিপুল অর্থের।
গতকাল কলকাতার বেলেঘাটা (Beleghata) এলাকায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি (ED Raid Kolkata)। ৭৫ নম্বর হেমচন্দ্র নস্কর রোডে থাকা একটি বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। প্রায় ৬ জন আধিকারিক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে পৌঁছে যান ওই বাড়িতে।
বস্তুত, চলতি মাসের শুরুতেই কলকাতার অন্তত ১০টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। সল্টলেক সেক্টর ওয়ানের একটি ভবনেও তল্লাশি চালানো হয়। ওই ভবনেই রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিস। তাছাড়া নাগেরবাজার এলাকায় এক কাউন্সিলরের বাড়ি, ঠনঠনিয়ার একটি বাড়িতেও গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। তল্লাশি চলে শরৎ বোস রোড, নিউ আলিপুরের একাধিক ঠিকানাতেও।
বেলেঘাটায় এক চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং নাগেরবাজারে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে, মন্ত্রী সুজিতের ছেলের ধাবাতেও তল্লাশি চলে। অভিযান চলে একটি রেস্টুরেন্ট ও অডিটরের দফতরেও।
এর আগে ২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তেই লেকটাউনে সুজিতের দু’টি বাড়ি এবং দফতরে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। ১৪ ঘণ্টা তল্লাশির পর বেশ কিছু নথি এবং সুজিতের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে বেরিয়ে যান তদন্তকারীরা।
অভিযোগ: ইডি তদন্ত করছে যে পুরসভা কেলেঙ্কারির (Municipal Scam) অর্থ রেডিয়েন্টের দুই ডিরেক্টর এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন কিনা।
উদ্ধার: লেক টাউনের বাড়িটি থেকে বেশ কয়েক কিলোগ্রাম সোনা (Gold) পাওয়া গেছে, যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা।
তদন্তের অবস্থা: উদ্ধার হওয়া সোনার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাড়ির মালিকরা এখনও পর্যন্ত কোনো সন্তোষজনক কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
মামলা: এই তল্লাশিগুলি সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত।
লক্ষ্য: ইডি রাজ্যের এক মন্ত্রীর (Minister) বিনিয়োগের পথ (Investment Trail) খুঁজে বের করতে এই তল্লাশি চালাচ্ছে।