সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কি খুনের ছক কষেছে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ? আরএসএস-এর মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’-এ সম্প্রতি এমনই দাবি করা হয়েছে। ‘অর্গানাইজার’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ চিনে সাংহাই কো-অপারেশনের বৈঠক চলাকালীন মোদিকে খুনের ছক কষেছিল। ভারত এবং রাশিয়ার গুপ্তচর বাহিনীর যৌথ ‘অপারেশনের’ ফলে সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়।
গত ৩১ আগস্ট বাংলাদেশের ঢাকার একটি হোটেলে মার্কিন স্পেশাল ফোর্সেস অফিসার টেরেন্স আরভেল জ্যাকসনের রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়। ঢাকার একটি হোটেলে মার্কিন স্পেশ্যাল ফোর্সেস অফিসার টেরেন্সের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষ করে ভারতে স্পেশ্যাল অপারেশনের জন্য টেরেন্সকে নিয়োগ করেছিল সিআইএ। সেটা সম্ভবত ভারতে সরকার বদল এবং প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা।
‘অর্গানাইজার’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাংহাই কোঅপারেশনের বৈঠক চলাকালীন ৩১ আগস্ট পুতিন যখন নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একই গাড়িতে চড়ে যাচ্ছিলেন এবং প্রায় ৪৫ মিনিট রুশ প্রেসিডেন্ট এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গে ছিলেন, তখনই সিআইএ-র এই পরিকল্পনা এবং আততায়ীদের পাঠানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রীর রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ওই ৪৫ মিনিট সময় কাটানো নাকি তাঁর পূর্বনির্ধারিত সূচিতেও ছিল না। পুরোটাই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য শেষ মুহূর্তে ঠিক করা হয়। ওইদিন মোদি যদি পুতিনের সঙ্গে না থাকতেন, তাহলে অঘটন ঘটে যেতে পারত।
‘অর্গানাইজার’-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে সিআইএ-র পরিকল্পনা জানার পর নরেন্দ্র মোদি নরেন্দ্র মোদি এতটাই উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলেন, যে, ২ সেপ্টেম্বর যখন তিনি দিল্লিতে ফিরে আসেন এবং একটি সম্মেলনে তাঁকে দেখে সবাই যখন হাততালি দিচ্ছিল, তখন নরেন্দ্র মোদি বলে ফেলেন, “আপনারা হাততালি কেন দিচ্ছেন? আমি চিনে গিয়েছিলাম বলে? না আমি চিন থেকে ফিরে এসেছি বলে?” এতেই স্পষ্ট, সিআইএ-র পুরো পরিকল্পনা জানার পর মোদি নিজেও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
যদিও অর্গানাইজার নিজেদের প্রতিবেদনের সমর্থনে কোনও যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ ওই প্রতিবেদনে পেশ করতে পারেনি। তবে এখানে উল্লেখ করতে হয়, বিভিন্ন সময়ই দক্ষিণ এশিয়াকে অশান্ত করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সিআইএর বিরুদ্ধে। এমনকী লালবাহাদুর শাস্ত্রী, হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মতো ব্যক্তিত্বের মৃত্যুর নেপথ্যেও মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।