সুমন করাতি, হুগলি: বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে এসআইআর ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ৪ নভেম্বর থেকে বাড়িতে বাড়িতে যাবেন বিএলওরা। নানা আশঙ্কায় ভুগছেন সাধারণ মানুষ! এই আবহে বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে সুর চড়ালেন ফুরফুরা শরীফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দীকী। বললেন, এসআইআরের নামে মুসলিমদের নাম বাদ দেওয়া ও হেনস্তার চক্রান্ত করা হচ্ছে। অন্যদিকে, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী জানালেন, আতঙ্কের কিছু নেই। কমিশনকে সহযোগিতা করবেন। তবে বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে কমিশনকে জবাব দিতে হবে।
বিশেষ নিবিড় সংশোধন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বাংলায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এই প্রক্রিয়া ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্নের শেষ নেই। অনেকে আবার আতঙ্কে ভুগছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের তরফে বারবার দাবি করা হয়েছে কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে না। কিন্তু এসআইআরে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ফুরফুরার পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী। এই প্রক্রিয়া মুসলিমদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন তিনি। ত্বহা প্রশ্ন তুলে বলেন, “এসআইআর সরকারী বিধান অনুযায়ী চলবে। কিন্তু তা কার্যকর করতে গিয়ে মুসলিমদের বেছে বেছে বাদ দেওয়া হবে না তো? সঠিক কাগজপত্র থাকার পর তা বদলে দিয়ে অন্য তকমা দেওয়া হবে না তো? যেটা বিহারে করা হয়েছে, এখানে যেন সেটা না হয়। নিরপেক্ষভাবে কাজ যেন হয়। আমার মনে হয় এসআইআরের নামে বাঙালি মুসলিমদের হেনস্তা করার চক্রান্ত করা হচ্ছে।”
এদিকে এসআইআর প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করার কথা বললেন আইএসএফ বিধায়ক নওয়াজ সিদ্দিকি। বললেন, “নির্বাচন কমিশন কোন বৈধ ভোটারকে বাদ দেবে না এবং অবৈধ ভোটারকে বাদ দেয়ার জন্য আইএসএফ সহযোগিতা করবে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।” তিনি আরও জানিয়েছেন, কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হলে তার জবাব নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।