২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম পানিহাটির প্রদীপ করের! ‘আত্মহত্যা’র কারণ নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য
প্রতিদিন | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে SIR চালু হওয়ার পরই পানিহাটির প্রৌঢ়ের রহস্যমৃত্যুতে তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। তৃণমূলের দাবি, আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। বিজেপির দাবি, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে মৃত প্রদীপ করের। এখানেই তাঁদের প্রশ্ন, তালিকায় নাম যখন রয়েছে তাহলে কীসের ভয়? পদ্মনেতাদের দাবি, অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই প্রৌঢ়। সেটাকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করছে তৃণমূল।
বছর সাতান্নর প্রদীপ কর উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির মহাজাতি নগরের বাসিন্দা ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেন, দেহের পাশে মিলেছে সুইসাইড নোট। তাতে নাকি লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী এনআরসি’। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টা প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বলেন, ‘বিজেপির ভয় ও বিভাজনের রাজনীতির ফল এই মৃত্যু।’ আজ, বুধবার দুপুরে মৃতের বাড়িতে যাওয়ার কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তবে এই মৃত্যুর নেপথ্যে এনআরসি বা এসআইআর আতঙ্ককে মানতে নারাজ বিজেপি। এবিষয়ে এদিন সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির উত্তর শহরতলি জেলা সভাপতি চণ্ডীচরন রায়। তিনি দাবি করেন, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম ছিল প্রদীপ করের। এখানেই তাঁদের যুক্তি, কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম থাকলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাহলে দেশছাড়া হওয়ার ভয়ে আত্মহত্য়া করবেন কেন প্রদীপ? বিজেপির দাবি, অন্য কোনওকারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন প্রৌঢ়। তার জেরেই চরম সিদ্ধান্ত। যদিও পালটা দিয়েছে তৃণমূল। এক নেতার কথায়, “ভাবুন তাহলে ওরা কীভাবে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে যে, বৈধ ভোটারও আত্মহত্যা করছেন।”
প্রসঙ্গত, একদম প্রথমে পলাশিতে থাকলেও বিগত ৪০বছরের বেশি সময় ধরে পানিহাটি অঞ্চলেই থাকতেন অবিবাহিত প্রদীপবাবু। প্রথম দিকে ভাড়া বাড়িতেই থাকতেন তিনি, তার ভাই তপন কর ও ভ্রাতৃবধূ মৌসুমী। পরে তাঁরা পানিহাটি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আগরপাড়ার মহাজাতি নগরের উমা অ্যাপার্টমেন্টের তিনতলা ফ্যাটে থাকতে শুরু করেন।