• স্কুলছুটের হার নিয়ে তথ্য দিয়ে কেন্দ্রকে মোক্ষম জবাব ব্রাত্যর, কী বললেন?
    প্রতিদিন | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছাত্রসংখ্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টের পালটা পরিসংখ্যান-সহ মোক্ষম জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কেন্দ্রের সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের ১৯০০ স্কুলে একজনও পড়ুয়া নেই। রিপোর্টে বলার চেষ্টা হয়েছে, রাজ্যে স্কুল শিক্ষার বেহাল দশা। কিন্তু ব্রাত্য নিজের এক্স হ্যান্ডলে পরিসংখ্যান দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভুল, মিথ্যাচারের সমান। উলটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আমলে একাধিক জনমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুল শিক্ষা চাঙ্গা করা হয়েছে।

    ওই রিপোর্টে রাজ্যের মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিতে ড্রপ আউটের হার সারা দেশে সর্বোচ্চ বলেও দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এমনকী কোনও পড়ুয়া না থাকা সত্ত্বেও একাধিক স্কুলে কয়েক হাজার শিক্ষক আছেন, আবার একাধিক স্কুলে একজন মাত্র শিক্ষক। পালটা বিশ্ববরেণ্য সাহিত্যিক মার্ক টোয়েনের উদ্ধৃতি দিয়েছেন ব্রাত্য। লিখেছেন, মার্ক টোয়েন একবার বলেছিলেন, “পরিসংখ্যান মিথ্যা বলে না, কিন্তু মিথ্যাবাদীরা পরিসংখ্যান বিকৃত করে।”
    বিজেপিকে ‘চিরকালের মিথ্যাবাদী’ বলে আক্রমণ করে ব্রাত্যর পাল্টা সওয়াল, “গত দেড় দশকে রাজ্যে এক হাজারের বেশি উন্নতমানের স্কুল তৈরি করা হয়েছে। কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, সবুজ সাথী, স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ-সহ একাধিক প্রকল্পের জোরে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলছুটের হার শূন্যে নেমেছে। শুধুমাত্র গত শিক্ষাবর্ষেই প্রায় ৫ লক্ষ ৫০ হাজার পড়ুয়া স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ পেয়েছে।”

    হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ব্রাত্য লিখেছেন, ‘ইউ-ডাইসে শুধুমাত্র সরকারি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা থাকে না, বেসরকারি স্কুলও এর সঙ্গে যুক্ত থাকে। ফলে সরকারি কত স্কুলে ছাত্র ভর্তি শূন্য, এটা আলাদা করা দুষ্কর। তাছাড়া যদিও ছাত্রশূন্য কোনও স্কুলে থেকেও থাকে, ভবিষ্যতে সেই সব স্কুলে একজনও পড়ুয়া ভর্তি হবে না, এটা বলা যায় না। এ জন্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্কুল তুলে দেওয়ার বিরোধী। তথাকথিত ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যগুলির দিকে তাকিয়ে দেখুন, পার্থক্য বোঝা যাবে।’
  • Link to this news (প্রতিদিন)