• ‘বাংলাদেশি’ দাগিয়ে মারধর, আতঙ্কে বাড়ি ফিরে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু, সরব তৃণমূল
    এই সময় | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ‘বাংলাদেশি’ দাগিয়ে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের। অভিযোগ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তার মধ্যে হুমকিও পেয়েছেন। প্রাণের ভয়ে হরিয়ানা থেকে বহরমপুরে ফিরে এসেছিলেন ৫৫ বছরের সন্তোষ দাস। কাজ হারিয়ে বহরমপুরের বাড়িতে ফিরে আসার পর থেকে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এর মধ্যে গত ১৭ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তড়িঘড়ি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ওই রাতেই চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান ওই পরিযায়ী শ্রমিক। আজ, বুধবার বহরমপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দয়ানগর শিবনগর পাড়ার বাড়িতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুরের ওই পরিযায়ী শ্রমিক সন্তোষ তাঁর স্ত্রী পাতা দাস ও একমাত্র ছেলে মিঠুন দাসকে সঙ্গে নিয়ে কাজের সন্ধানে হরিয়ানা গিয়েছিলেন। সেখানে সন্তোষ রং মিস্ত্রির কাজ করতেন, পরিচারিকার কাজ করতেন স্ত্রী আর ছেলে সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

    স্ত্রী পাতা দাস বলেন, ‘বহরমপুরে ফিরে বাড়িতেই বসে থাকতেন তিনি। কোনও কাজকর্ম ছিল না। হরিয়ানাতে কাজ করে যে টাকা জমিয়ে ছিলাম, সেই জমানো টাকায় সংসার চলছিল। কিন্তু সংসার চালানো নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তা করতেন আর সারা দিন বাড়িতে মুখ গুঁজে বসে থাকতেন।’ ওই মানসিক চিন্তা থেকেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে পরিবারের লোকজনের দাবি।

    ওই খবর জানতে পেরে মঙ্গলবার ওই পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের বাড়িতে গিয়েছিলেন বহরমপুরের পুরপ্রধান তৃণমূলের নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়। পরিবারকে ব্যক্তিগত ভাবে সাহায্য করেন এবং সব রকম ভাবে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘খুব দুঃখ জনক ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য মাসিক ভাতা চালু করেছেন। এ সব ক্ষেত্রে সমস্যা হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানোর জন্য ফোন নম্বর দিয়েছেন।’

    ওই খবর জানতে পেরে মঙ্গলবার ওই পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের বাড়িতে গিয়েছিলেন বহরমপুরের পুরপ্রধান তৃণমূলের নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়। পরিবারকে ব্যক্তিগত ভাবে সাহায্য করেন এবং সব রকম ভাবে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘খুব দুঃখ জনক ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য মাসিক ভাতা চালু করেছেন। এ সব ক্ষেত্রে সমস্যা হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানোর জন্য ফোন নম্বর দিয়েছেন।’

  • Link to this news (এই সময়)