• হিরের অলঙ্কারে সেজেছেন চন্দননগরের ‘সোনা মা’, আর কী কী চমক থাকছে?
    এই সময় | ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • জগদ্ধাত্রী পুজোয় শুধু রাজ্যেই নয়, গোটা দেশেই সুনাম হুগলির চন্দননগরের। আলো, প্রতিমা, মণ্ডপসজ্জা সব দিক থেকেই চন্দননগরের পুজোর আলাদা আকর্ষণ থাকে প্রতি বছর। এ বার শিরোনামে সেই চন্দননগরেরই হেলাপুকুর ধারের জগদ্ধাত্রী পুজো। হিরের গয়না পরিয়ে সাজানো হয়েছে প্রতিমাকে।

    এ বছর ৫৬তম বর্ষে পড়েছে হেলাপুকুর ধারের জগদ্ধাত্রী পুজো। ১৪ ফুটের প্রতিমা তৈরি করানো হয়েছে। প্রতিমা তৈরি করেছেন কলকাতার কুমোরটুলির শিল্পীরা। অন্য বছর সোনার গয়না দিয়ে সাজানো হয় প্রতিমাকে। হেলাপুকুর ধারের এই প্রতিমা স্থানীয়দের কাছে পরিচিত ‘সোনা মা’ নামে।

    এ বার প্রতিমার সাজসজ্জায় বিশেষ চমক থাকছে। ২০১৯ সাল থেকেই প্রতিমাকে সোনার গয়না দিয়ে সাজানো হয়। তবে এ বার হিরের অলঙ্কারে সাজানো হচ্ছে প্রতিমা। দেবীর মুকুট, কানপাশা, গলার চেন-সহ সব অলঙ্কারেই থাকছে হিরে। প্রত্যেক বছরেই এই মূর্তি দেখতে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই আশা উদ্যোক্তাদের।

    পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর সরকার জানান, ২০১৯ সাল থেকে প্রতিমাকে সোনার অলঙ্কার দিয়ে সাজানো শুরু হয়েছিল। এই বছর হিরে থাকছে প্রতিমার অলঙ্কারে। চুঁচুড়ার একটি বিখ্যাত অলঙ্কার বিপণীর গয়না দিয়েই সাজানো হচ্ছে প্রতিমা। সোনার উপরে ছোট ছোট হিরে বসিয়ে তৈরি হয়েছে গয়না। একটি জমকালো নীল শাড়ি পরানো হয়েছে প্রতিমাকে।

    তিনি আরও বলেন, মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখতে বহু মানুষ আসছেন এখানে। প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্যও বিশেষ থিম রাখা হয়েছে। এ বছর তাঁদের শোভাযাত্রার থিম ‘ত্রিকাল’। বিভিন্ন রকমের মুখোশ দিয়ে সেজেছে মণ্ডপ। সঙ্গে হিরের গয়নার দ্যুতি। সব মিলিয়ে হেলাপুকুর ধারের পুজো যে আকর্ষণের কেন্দ্রে, তা বলাই বাহুল্য।

  • Link to this news (এই সময়)