খুনের পর যুবকের মুণ্ডহীন দেহ ফেলা হয় নদীতে, মহিলা-সহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
প্রতিদিন | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: যুবককে নৃশংস খুনের ঘটনায় এক মহিলা-সহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। ২০২২ সালের সেই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করল নদিয়ার কৃষ্ণনগর দায়রা আদালতের। ছেলের খুনিদের সাজা হওয়ায় খুশি নিহত যুবকের পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার ধুবুলিয়ার বাসিন্দা বাবুসোনা ঘোষের সঙ্গে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের পীরপুরের বাসিন্দা নমিতা ঘোষের বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক ছিল বলে মনে করত তার স্বামী। তা নিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবনে সমস্যা তৈরি হয়। এরপরই ২০২২ সালে বাবুসোনাকে খুনের পরিকল্পনা করে নমিতা, তাঁর স্বামী প্রসেনজিৎ ঘোষ ও দুই ভাই শংকর ও প্রহ্লাদ ঘোষ।
সেই মতো বাবুসোনাকে মাথাভাঙার নদীর ধারে একটি কলাবাগানে ডাকে নমিতা। সেখানে আসেন বাবুসোনা। তারপর স্বামী ও দুই ভাই মিলে নৃশংস ভাবে খুন করেন বাবুসোনাকে। আলাদা করে দেওয়া হয় মাথা থেকে ধর।
তারপর এলাকায় একটি বাগানে মাটি খুঁড়ে বাবুসোনার মাথা, জামাকাপড়, মোবাইল পুঁতে দেয় তারা। মুণ্ডুহীন দেহ ভাসিয়ে দেয় মাথাভাঙায়। তাদের ধারনা ছিল এই মাথাভাঙার সঙ্গে বাংলাদেশের নদীর যোগ থাকায় দেহ ওপার বাংলায় ভেসে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। দেহটি মাথাভাঙার আরও একটি শাখা দিয়ে বারাকপুরের মঙ্গলপাণ্ডের ঘাটের কাছে চলে আসে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে মামলা রুজু করে। অন্যদিকে নদিয়ার ধুবুলিয়া থানাও একটি তদন্ত শুরু করে। পরে বিভিন্ন প্রমাণ পাওয়ার পর দুটি মামলাজুড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের চিরুনি তল্লাশিতে মাটির তলা থেকে উদ্ধার করা হয় দেহ থেকে আলাদা করা মুন্ডু। পুলিশের চিরুনি তল্লাশিতে গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্তরা। দীর্ঘশুনানি ও আইনি জটিলতা কাটিয়ে মঙ্গলবার অভিযুক্তদের দোষী সাবস্ত্য করা হয়। বুধবার চারজনেরই যাবজ্জীবন কারদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক।