বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার মধ্যে নিয়োগপত্র না নিলেই সাসপেন্ড, BLO-দের কড়া বার্তা কমিশনের
প্রতিদিন | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বিএলও অর্থাৎ বুথ লেভেল অফিসারদের উপর নির্ভর করছে রাজ্যে শুরু হওয়া বিশেষ নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ কতটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। এবার একদম নিচুস্তরের এই অফিসারদের বিরুদ্ধে আরও কড়া মনোভাব নিল নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে দায়িত্বভার গ্রহণ না করলে বিএলওদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিল কমিশন।
দুপুর ১২টার মধ্যে যারা বিএলও হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। এমন কর্মীদের ক্ষেত্রে সাসপেন্ড করার ভাবনাও চলছে। কমিশনের এক আধিকারিকের কথায়, “ব্লক লেভেল অফিসারদের দায়িত্ব ভোটার তালিকার ভিত্তি মজবুত করা। দায়িত্ব না নিলে সমগ্র প্রক্রিয়াই ব্যাহত হয়।”
কমিশন সূত্রে আরও খবর, প্রতিটি জেলার প্রশাসনকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, আগামিকাল দুপুরের মধ্যে যদি কেউ কাজে যোগ না দেন, তবে তাঁদের নামের তালিকা কমিশনে পাঠাতে হবে। এরপরই শুরু হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া। কমিশনের এক কর্তার কথায়, “অনেক শিক্ষক নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। কিন্তু কমিশন এবার আর ছাড় দিতে রাজি নয়।” নির্বাচন কমিশনের তরফে বার্তা স্পষ্ট -“দায়িত্ব নিতে হবে, নয়তো ফল ভোগ করতে হবে।”
বাংলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মঙ্গলবারই জানিয়েছেন আগামী ৪ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ শুরু করবেন বিএলওরা। এনুমারেশন ফর্ম দেবেন তাঁর। অথচ সেই বিএলও নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের ৮০ হাজারের বেশি বুথে বিএলও নিয়োগ করা হবে। কিছু জায়গায় এখনও শূন্যপদ রয়েছে। তারই মাঝে বেশিরভাগ বিএলও নিয়োগপত্র নিতে না চাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। সে কারণেই এবার ডেডলাইন বেঁধে দিল কমিশন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার মধ্যে নিয়োগপত্র না নিলে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলে রাখা ভালো, এর আগেও এক হাজারের বেশি বিএলওকে শোকজ করেছিল কমিশন। তবে এবার আরও কড়া নির্বাচন কমিশন। নিয়োগপত্র না নিলেই নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।