• বীরবাহার মামলায় এখনই পদক্ষেপ নয়, হাই কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশে আপাতত স্বস্তি শুভেন্দুর
    প্রতিদিন | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • গোবিন্দ রায়: আদালতের নির্দেশে আপাতত স্বস্তি পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার বিরুদ্ধে কুমন্তব্যের জেরে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই ইস্যুতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলার শুনানি হয়। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দু’টি মামলায় তদন্ত স্থগিত রাখার অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার কেস ডায়েরি আদালতে হাজির করানোর নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। এই বিষয়ে রাজ্য এখনই কোনও পদক্ষেপ করবে না। হাই কোর্টে সেই কথা রাজ্যের তরফে জানিয়েছেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    বীরবাহা হাঁসদার বিরুদ্ধে কুমন্তব্যের জেরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে বেলেঘাটা এবং সাঁকরাইল থানায় এসসি-এসটি ধারায় এফআইআর দায়ের হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে। কলকাতা হাই কোর্টে এদিন মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশে আপাতত স্বস্তি পেয়েছেন শুভেন্দু। এদিন আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না। শুধু তাই নয়, এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১১ নভেম্বর। সেদিন মামলার কেস ডায়েরি আদালতে পুলিশকে হাজির করতে হবে। শুধু তাই নয়, তার আগে মামলার মূল অভিযোগকারীকে নোটিশ দিতে হবে। সেই কথাও বলা হয়।

    বিরোধী দলনেতাকে যেন কোনও রক্ষাকবচ না দেওয়া হয়, এদিন রাজ্যের তরফে আদালতে এই আবেদন করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “মূল অভিযোগকারীর বক্তব্য শোনার পরেই রক্ষাকবচ দেওয়া বা না দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এই আদালত।” এরপর আদালতের নির্দেশ মেনে জানানো হয়, রাজ্যের তরফে এখনই কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। ওই দুই মামলায় এখনই অগ্রসর হচ্ছে না পুলিশ। আগামী ১১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই কলকাতা হাই কোর্টে অস্বস্তি বেড়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ২০২২ সালে শুভেন্দুকে দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিয়েছে হাই কোর্ট। যার ফলে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে আর আদালতের অনুমতি প্রয়োজন হবে না রাজ্যের। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ অবশ্য বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৫টি এফআইআরও বাতিল করে দেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ রক্ষাকবচ দিয়েছিল শুভেন্দুকে। রাজ্য পুলিশের দায়ের করা ২৬টি এফআইআরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে নির্দেশ ছিল, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এরপর বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে নানা রকমের বহু অভিযোগ উঠলেও আদালতের অনুমতি না থাকায় এফআইআর দায়ের করা যায়নি। সম্প্রতি ওই রক্ষাকবচের বিরুদ্ধে আদালতে যায় রাজ্য।
  • Link to this news (প্রতিদিন)