• রাফালে সওয়ার রাষ্ট্রপতি, স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গীর সঙ্গে হাসি মুখে ছবি
    বর্তমান | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: অপারেশন সিন্দুর। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। নিজেদের মুখ বাঁচাতে ভুয়ো খবরের  আশ্রয় নিয়েছিল ইসলামাবাদ। তারা দাবি করেছিল, পাক সেনার প্রত্যাঘাতে ভেঙে পড়েছে রাফাল যুদ্ধবিমান। বন্দি করা হয়েছে ভারতের স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিংকে। তবে সেই মিথ্যা প্রকাশ্যে আসতে বেশি সময় লাগেনি। বুধবার সেই বীরাঙ্গনা শিবাঙ্গীকে পাশে নিয়ে হরিয়ানা আম্বালা বেস ক্যাম্পে হাসিমুখে ছবি তুললেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। 

    এদিন দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফাল যুদ্ধবিমানে সওয়ার হন মুর্মু। বায়ুসেনার সামরিক পোশাক ও রোদ চশমা পরে যুদ্ধবিমানে ওঠেন তিন বাহিনীর প্রধান। হাতে হেলমেট নিয়ে পাইলটের সঙ্গে ছবিও তোলেন। হাত নাড়িয়ে সকলের অভিবাদন গ্রহণ করেন। বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে তাঁকে নিয়ে উড়ে যায় রাফাল। ৩০ মিনিটের সফরে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছেন রাষ্ট্রপতি। বুধবার তাঁকে নিয়ে রাফালটি উড়িয়েছেন ১৭ স্কোয়াড্রনের কমান্ডিং অফিসার গ্রুপ ক্যাপ্টেন অমিত গেহানি। অন্য একটি যুদ্ধবিমানে ওঠেন বায়ুসেনা প্রধান এ পি সিংও। এদিন রাফালে সওয়ার হয়ে একাধিক রেকর্ড গড়লেন মুর্মু। প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি রাফালে উঠলেন। পাশাপাশি, মুর্মুই একমাত্র রাষ্ট্রপতি যিনি দু’টি যুদ্ধবিমানে সওয়ার হলেন। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে অসমের তেজপুর বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে সুখোইতে উঠেছিলেন তিনি।  এদিনের সফরের পর ভিজিটার্স বুকে রাষ্ট্রপতি লেখেন, রাফাল চড়ার অভিজ্ঞতা সারাজীবন স্মৃতিতে থেকে যাবে। এইধরনের সফল আয়োজনের জন্য ভারতীয় বায়ুসেনা ও আম্বালারা এয়ার ফোর্স স্টেশনের গোটা টিমকে শুভেচ্ছা। উল্লেখ্য, এর আগে রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন যুদ্ধবিমানে উঠেছিলেন এ পি জে আব্দুল কালাম ও প্রতিভা সিং পাতিল। দু’জনেই সুখোইতে সওয়ার হয়েছিলেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)