নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ১০১টি আসনে তাঁর দল লড়াই করছেন। অন্তত অর্ধেকের বেশি আসনে জয় না পেলে এনডিএ জোটে ক্রমেই ছোটো শরিকে পরিণত হবেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। বস্তুত মনেপ্রাণে সেটাই চায় তাঁর জোটসঙ্গী বিজেপি। বিষয়টি অজানা নয় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীরও। তাই যৌথ প্রচার শুরু হতেই নীতীশ কুমার বিজেপিকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, অন্য রাজ্যে কী করছেন সেটা নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু বিহারের নির্বাচনে এনডিএ জোটের প্রচারে বিজেপি যেন সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ইস্যুতে ঝাঁপিয়ে না পড়ে। যতই মুসলিম-যাদব ভোটব্যাঙ্ক আরজেডির কাছে
একচ্ছত্র থাকে বলে প্রচার হোক, মুসলিম ভোটের একাংশ এখনও
নীতীশ কুমারের পক্ষেই থাকে। কারণ একমাত্র যে এনডিএ জোটের রাজ্যে মুসলিমরা এখনও কোণঠাসা হয়নি, সেটা হল বিহার। এমনকি নীতীশ কুমারের ২০ বছরের রাজত্বে বড়োসড়ো কোনও দাঙ্গা, সাম্প্রদায়িক সংঘাতও হয়নি। সেই কারণে মুসলিমরা নীতীশ কুমারের থেকে সম্পূর্ণ সরে যায়নি। বরং সীমাঞ্চল, মিথিলাঞ্চল, কেন্দ্রীয় বিহারে এখনও মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের একাংশ আস্থা রাখে নীতীশ কুমারের উপর। আর এবার সেই আস্থায় যেন কোনওপ্রকার আঘাত না হয়। এই সতর্কবার্তা নীতীশ কুমার দিয়েছেন বিজেপিকে। সংযুক্ত জনতা দলের সঙ্গে বিজেপির বিহার শাখার যৌথ প্রচার সংক্রান্ত বৈঠকে এই বার্তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীর বিরুদ্ধে বলার নামে সংখ্যালঘুদের যেন নিশানা করা না হয়। কোনও ভয় দেখানো না হয়। তাদের শঙ্কা, এরকম হলে মুসলিম সমাজ সম্পূর্ণভাবে আরজেডি ব্লকের দিকে চলে যাবে। যদি মুসলিম ও যাদব সমীকরণ একযোগে তেজস্বী যাদবকে বেছে নেয়, তাহলে আরজেডি যথেষ্ট বেশি আসন পেয়ে যাবে। ক্ষতি হবে নীতীশ কুমারের। চিরাগ পাসোয়ান, জিতন রাম মাঝি, উপেন্দ্র কুশওয়া সকলেরই নিজস্ব জাতিগত ভোটব্যাঙ্কই প্রধান ভরসা। আর সেই ভোটব্যাঙ্কও বিশেষ কিছু এলাকায় সীমাবদ্ধ। কিন্তু মুসলিম ভোটার বিহারজুড়েই আছে। তাই নীতীশ কুমার কুর্মি, কৈরী, মহিলা এবং মুসলিম এই চার ভোটব্যাঙ্ককে কোনওভাবেই হারাতে চাননা। কারণ, এরাই তাঁর দলের সবথেকে বড় পুঁজি। তাই বিজেপিকে রীতিমতো হুঁশিয়ারিই দেওয়া হয়েছে।