• বনগাঁয় ব্যাংকে জাল নোট জমা দিতে গিয়ে গ্রেফতার পাঁচ যুবক
    বর্তমান | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: ব্যাংকে জাল টাকা জমা দিতে গিয়ে বনগাঁ থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার পাঁচ যুবক। ধৃতদের নাম বাপ্পা দত্ত, প্রসেনজিৎ দত্ত, অমিতাভ মিত্র, প্রশান্ত সরকার এবং সাগর দাস। বাপ্পা এবং প্রসেনজিৎ দুই ভাই। এরা বনগাঁ শিমূলতলার বাসিন্দা। অমিতাভ দত্তপাড়ার বাসিন্দা। বাকিরা পেট্রাপোল থানার হরিদাসপুর এবং ছয়ঘরিয়া এলাকায় থাকেন।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংকের মোতিগঞ্জ শাখায় প্রসেনজিতের একাউন্টে ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে আসেন ভাই বাপ্পা। ১০০টি ৫০০ টাকার নোট নিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু নোটগুলি জমা দেওয়ার পরই এক ব্যাংককর্মী লক্ষ্য করেন, এর মধ্যে ২২টি ৫০০ টাকার নোট জাল। বিষয়টি ব্যাংক ম্যানেজারকে জানানো হয়। তিনিই থানায় খবর দেন। ব্যাংক ম্যানেজারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে বাপ্পাকে গ্রেফতার করে। এরপর যে অ্যাকাউন্টে টাকাগুলি জমা করা হচিছল, সেই অ্যাকাউন্টের মালিক প্রসেনজিৎকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদেরকে জেরা করে বাকি তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার ধৃতদের বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশের দাবি, এই ঘটনায় কোনও বড় চক্রের হদিশ মিলতে পারে। তদন্ত চলছে।

    সীমান্তবর্তী শহর বনগাঁয় জাল টাকার চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। ভারত, বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের কারণে বেআইনি হাওলা কারবার চলে। এই হাওলার মাধ্যমে এদেশে চলে আসে জাল নোট। পাকিস্থান জাল নোটের আঁতুড়ঘর। সূত্রের দাবি, পাকিস্তানে তৈরি ভারতীয় জাল নোট নেপাল, বাংলাদেশ ঘুরে এদেশে চলে আসে। বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। অনুপ্রবেশকারীরা অনেক সময় এই জাল নোটের ক্যারিয়ার হয়ে কাজ করেন। তবে ধৃতরা এত জাল নোট কোথা থেকে পেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  উদ্ধার হওয়া জাল নোট।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)