জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: করোনা আতঙ্কে তখন ঘরবন্দী জীবন। বাইরে বেরোনোর কোনও উপায় নেই। লকডাউনের সময়ে নিয়োগ হয়েছিল এসএসসিতে! কীভাবে? আদালতে জানালেন শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক।
রাজ্য শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি। এদিন এসএসসি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আদালতে। এজলাসে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন সিবিআই ও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদে স্টেনো টাইপিস্ট হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন ধ্রুব চক্রবর্তী। এরপর ২০১৯ সালে তত্কালীন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের পিএ হিসেবে কাজ করেন তিনি।
এদিন আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে সেই ধ্রবই জানান, প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, নিয়োগপত্র দেওয়ার পর ডিআই দের মেল পাঠানো হবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত লকডাউনের জন্য় পরে মেল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। ফলে মেল না পেয়ে বোর্ডে অফিসে কথা বলতে আসেন চাকরিপ্রার্থীরা। এখন নিয়ম অনুযায়ী, নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা এসএসসির। তাই চাকরিপ্রার্থীদের এসএসসির কাছে যেতে বলা হয়।
এদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে চিঠি দিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে জানান, চাকরিপ্রার্থীদের তিনটি ক্যাটেগরিতে ভাগ কর পাঠাতে। এই তিন ক্যাটাগরি হল -A, B, C। A হল যে প্রার্থীদের নেওয়া হবে। B হল যাদের নাম ওয়েটিং লিস্টে থাকবে এবং C যাদের বাতিল করা হয়েছে। পরে আবার চিঠি দিয়ে জানানো হয়, C তালিকায় থাকা নামের মধ্যে ৪টি নাম A তালিকাভুক্ত করতে হবে। যদিও এই নাম গুলি পরবর্তীকালে কী হয়েছিল সে সম্পর্কে তাঁর কোনও তথ্য নেই বলেও জানান কল্য়াণময় গঙ্গোপাধ্যায়ে পিএ।
ধ্রুব জানান, 'সেন্ট্রাল রিসিভিং থেকে যে সব চিঠি আসত, সেগুলি মার্ক করে দিতাম। কোন চিঠি কোন বিভাগে যাবে সেগুলিও মার্ক করতাম। ২০১৯ সালের মে মাসের পর নিয়োগ সংকান্ত চিঠি খুলতে মানা করে দিয়েছিলেন কল্যাণময়। প্রেসিডেন্ট অনেক সময় রাজেশ লায়েককে দিয়ে পাঠিয়ে দিতেন বা রাজেশকে দিতেন। কনফেডেন্সিয়ল লেটার সব সরাসরি স্যারের(কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়) কাছে আসত। লকডাউনের সময় একদিন স্যার অ্যাপয়নমেন্টের তালিকা দিয়ে জানান অনেক কাজ আছে।। অফিসে থাকতে হবে । রাজেশ লায়েকও ছিলেন। ৬৩০ জনের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। অঙ্কিতা অধিকারি পরেশচন্দ্র অধিকারী বোর্ডের অফিসে এলে পরেশ বাবুকে স্যারের কাছে নিয়ে যায়। পরে উনাদের অ্যাপয়নমেন্ট সেলে নিয়ে যায়, অনেকক্ষণ উনারা ছিলেন কিন্তু কী কথা হয়েছে তা উনি জানেন না'।