• বিশ্ববাংলার ‘মেঠো পথে’ পিছলে একাধিক দুর্ঘটনা
    এই সময় | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • এই সময়, রাজারহাট: নিউ টাউন। ঝকঝকে উপনগরী! তার লাইফলাইন বিশ্ব বাংলা সরণির কোথাও কোথাও যা হাল, তা গ্রামের যে কোনও মেঠো রাস্তাকেও হার মানাবে। তারপরে বুধবারের বৃষ্টি হাল আরও বেহাল করে দিয়েছে। সেই বেহাল রাস্তায় বুধবার স্কুটির চাকা পিছলে দুই আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়েন। পিছনের গাড়ি সময়ে ব্রেক কষায় অল্পের জন্য রক্ষা পান দু’জনেই। তবে চোট লেগেছে। শুধু এই একটি ঘটনাই নয়, দিনভর এমন একাধিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল বিশ্ববাংলা সরণি। যা নিয়ে ক্ষোভ বেড়েছে স্থানীয় ও এই রাস্তা ধরে যারা নিত্য যাতায়াত করেন, তাঁদের মধ্যে।

    বুধবারের বৃষ্টিতে বিশ্ববাংলা সরণির বিমানবন্দরগামী লেনের যাত্রাগাছি থেকে ইকো পার্কের এক নম্বর গেট পর্যন্ত রাস্তা ব্যাপক কর্দমাক্ত হয়ে ওঠে। ঝাঁ চকচকে পিচ রাস্তায় ডাম্পার থেকে কয়েকদিন ধরে লাগাতার মাটি পড়েছিলই। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টি। ফলে রাস্তা জুড়ে কাদা। সেই কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময়ে একের পর এক দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন দু’চাকার চালকরা। কারও ছড়ে–কেটে গিয়েছে। কারও হাত–পা ভেঙেছে।

    এ দিন দুপুরে বিশ্ববাংলা গেট থেকে স্কুটিতে চিনার পার্কের দিকে যাচ্ছিলেন দুই যুবক। যাত্রাগাছিতে জৈব হাট পেরোনোর পরেই সজোরে আছাড় খেয়ে পড়েন তাঁরা। স্কুটির চালক বিপ্লব পাল বলেন, ‘নিউ টাউনের মতো রাস্তায় এত কাদা এল কোথা থেকে? পিছনের গাড়ি ব্রেক কষে না থামলে দুই বন্ধুই মরতাম।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ওই এলাকায় দুর্গাঙ্গন তৈরির জন্য একটি ঠিকাদার সংস্থা মাটি ফেলছে।

    অভিযোগ, তাদের ডাম্পার থেকে মাটি পড়ে রাস্তার এমন ভয়ঙ্কর অবস্থা। রাস্তা থেকে দ্রুত মাটি পরিষ্কারের কথা থাকলেও নাকি সেই কাজ করেনি ওই ঠিকাদার সংস্থা কিংবা হিডকো। পুলিশের তরফেও ধীরে গাড়ি চালানোর জন্য কোনও গার্ড রেল কিংবা নির্দেশিকা নেই। স্থানীয়দের বক্তব্য, ফলে যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে নিউ টাউনের বুকে। বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, দুর্ঘটনা রুখতে কী করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Link to this news (এই সময়)