• ৫০ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে, চার দশক পর অভিযোগ থেকে মুক্তি
    এই সময় | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • যাত্রীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক টিকিট পরীক্ষকের (TTE) বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। ৩৭ বছর পরে অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন তিনি। ওই অভিযোগ থেকে তাঁকে মুক্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে আদালতের এই রায় দেখে যেতে পারেনি ওই টিকিট পরীক্ষক। কয়েক বছর আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে, তাঁর পরিবারকে যাবতীয় আর্থিক সুবিধা এবং পেনশন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

    আদালত সূত্রে খবর, এই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছিল ভি এম সওদাগর নামে ওই টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে। ১৯৮৮ সালের ৩১ মে, দাদার-নাগপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের স্লিপার কোচের তিন যাত্রীর কাছে তিনি মোট ৫০ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। রেলের ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা ওই কোচে আচমকা অভিযান চালান। তাঁর কাছে অতিরিক্ত ১২৫৪ টাকা পাওয়া যায়। এর পরে রেলের বিভাগীয় তদন্তের ভিত্তিতে ১৯৯৬ সালে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। এর পরেই Central Administrative Tribunal (CAT)-এ মামলা করেন সওদাগর। ওই ট্রাইব্যুনাল বরখাস্তের নির্দেশ বাতিল করে দেয়। ক্যাটের রায়ের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে যায় রেল। বম্বে হাইকোর্ট ওই নির্দেশ বাতিল করে রেলের সিদ্ধান্ত বজায় রাখে।

    হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই টিকিট পরীক্ষক। মামলা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। যদিও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ওই পরীক্ষক যে ঘুষ নিয়েছিলেন তার নির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেই কারণে তাঁকে বরখাস্ত করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা বাতিল করা হচ্ছে।

    সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রর বেঞ্চ জানিয়েছে, সঠিক রায়ই দিয়েছিল CAT। তবে হাইকোর্টে সঠিক বিচার পাননি ওই টিকিট পরীক্ষক। এই কারণেই ভি এম সওদাগরকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গেই তাঁর পরিবারকে পেনশন সহ সমস্ত আনুষঙ্গিক আর্থিক সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)