• ইডি হানায় বাজেয়াপ্ত নগদ তিন কোটি টাকা
    এই সময় | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • এই সময়: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বাজেয়াপ্ত করা হলো নগদ তিন কোটি টাকা। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লেকটাউনে এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাট এবং তারাতলার গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, যে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তিনিও রাজ্যের এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ।

    পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কিছুদিন আগে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর অফিস, তাঁর ছেলের রেস্তোরাঁ, দক্ষিণ দমদমের কাউন্সিলার নিতাই দত্তর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সব মিলিয়ে সেখান থেকে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। সেই সূত্রে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কথা জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এ দিন সকালে লেকটাউনের বিলাসবহুল আবাসনে এক ওয়্যারহাউজ ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়। হানা দেওয়া হয় তারাতলায় তাঁর গোডাউনেও। টাকা গোনার মেশিন আনিয়ে রাত পর্যন্ত সেখান থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

    ইডি সূত্রে খবর, ওই ব্যবসায়ীর একাধিক ব্যবসা রয়েছে। চার–পাঁচটি কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবেও রয়েছেন তিনি। মূলত ২০০৪ থেকে ২০২২–এর মধ্যে একাধিক ব্যবসায় ইনভেস্ট করেছেন ব্যবসায়ী। শহরে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। রয়েছে বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়িও। কী উদ্দেশ্যে গোডাউনে নগদ টাকা রাখা হয়েছে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে গোয়েন্দাদের দাবি। বিপুল এই সম্পত্তির পিছনে কি পুর দুর্নীতির টাকা ঘুরপথে ঢুকেছে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন ইডির তদন্তকারীরা।

    পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার বেলেঘাটায় সিআইটি রোডের হেমচন্দ্র নস্কর রোডে ব্যবসায়ী দু’ভাইয়ের বাড়ি ও অফিস ছাড়াও প্রিন্সেপ ঘাটে একটি ঋণপ্রদানকারী সংস্থায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তারও আগে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়ি এবং তাঁর ছেলে সমুদ্র বসুর ধাবাতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, সুজিত যখন দক্ষিণ দমদমের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন সে সময়ে অয়ন শীল নামে এক ব্যবসায়ীর সংস্থা এবিএস ইনফোজ়েন ওই পুরসভায় নিয়োগের সব বরাত পেত। অয়নের সংস্থা ছিল পরীক্ষার ওএমআরের দায়িত্বে। ওই মামলার তদন্তে এ বার নতুন করে সক্রিয় হয়েছেন গোয়েন্দারা।

    এ দিন ইডির অভিযান সম্পর্কে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘১৭ জন চেয়ারম্যান এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এতে যুক্ত। একাধিক মন্ত্রী যুক্ত। সকলে জানে। ওরা কেন বাইরে? আমরা ভিতরে দেখতে চাই।’

  • Link to this news (এই সময়)