• স্ত্রী, মেয়েদের বাইরে বেরোনো নিয়ে চরম আপত্তি! প্রতিশোধ নিতে স্বামীর সঙ্গে যা করলেন স্ত্রী, জানলে শিউরে উঠবেন আপনিও ...
    আজকাল | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের রামপুরে হাড়হিম ঘটনা৷ স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্তের দুই মেয়েরও তাঁদের মাকে সাহায্য করা নিয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটে বিলাসপুর থানা এলাকার মুন্দিয়া খুর্দ গ্রামে। ঘটনার জেরে, মৃত ব্যক্তির স্ত্রীকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে এখানে দুই মেয়ের ভূমিকা এখনও তদন্তাধীন।

    পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই পারিবারিক বিবাদ চলছিল। মূলত, স্ত্রী ও মেয়েদের আচরণ, তাঁদের কার্যকলাপ নিয়ে ব্যক্তি আপত্তি জানান। এরপরই শুরু হয় চরম অশান্তি। মৃত ব্যক্তির ভাই যোগিন্দরের অভিযোগের ভিত্তিতেই বিষয়টি সামনে আসে। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

    যোগিন্দর তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, "আমার দাদার পাঁচ সন্তান। তাদের মধ্যে দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে। দাদা তাদের বারণ করতে বা বোঝাতে গেলে তারা কথা শুনত না। একবার তাদের কাছে একটি ফোন পাওয়া যায়, তখন দাদা বকাবকি করেন। বৌদি ও দুই মেয়ে মিলে তাঁকে মারধর করে। হেঁচড়াহেঁচড়ি করে। পরে গ্রামবাসীরা হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তারপর আবার সবাই বাড়ি চলে যায়।"

    যোগিন্দর আরও অভিযোগ করেন যে, পরের দিন সকালে তিনি দেখেন তাঁর দাদার হাত-পা বাঁধা এবং পেটে দড়ি জড়ানো। "গোটা গ্রাম এবং পুলিশও এটা দেখেছে। আমরা অভিযোগ দায়ের করেছিলাম, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি," জানান তিনি।

    ঘটনার পর পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তে জানা যায় ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়। পরে পুলিশ স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে। জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তাঁর অপরাধের কথা স্বীকারও করেছেন। তবে খুনে ব্যক্তির দুই মেয়েও জড়িত আছে কিনা তা বর্তমানে তদন্তাধীন।

    যোগিন্দরের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, "স্ত্রী এবং দুই মেয়ে জড়িত ছিল। আমরা এফআইআর দায়ের করি। শেষকৃত্যের পর গ্রামের সকলে পুলিশের দ্বারস্থ হলেও আমাদের আবেদন শোনা হয়নি। বৌদিকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। আমার দাদার নাম বিজেন্দ্র।"

    রামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুরাগ সিংহ বলেন, "এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। ময়নাতদন্তে দেখা যায়, শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন তাঁর ভাই অভিযোগ করেন যে, স্ত্রী ও দুই মেয়ে মিলে এই খুন করেছে। স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করার পর তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।"

    খবর অনুযায়ী তল্লাশি এখনও জারি রয়েছে। বিশেষ করে দুই মেয়ের জড়িত থাকার বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ এখনও নিশ্চিতভাবে জানায়নি যে মেয়েদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কি না।

    খুনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে অনুরাগ সিংহ বলেন, "মেয়েদের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত চলছে, তবে এখনও পর্যন্ত মনে হচ্ছে স্ত্রী, মেয়েরা এবং ওই ব্যক্তির মধ্যে ঘন ঘন বিবাদ ছিল। মৃত্যুর দু'দিন আগে একটি বড় ধরনের বচসা হয়েছিল, মনে করা হচ্ছে সেটিই ছিল এই ঘটনার সূত্রপাত"৷ পুলিশ আরও জানিয়েছে, স্ত্রী ও মেয়েদের চলাফেরা ও কার্যকলাপের উপর স্বামীর দেওয়া বিধিনিষেধের কারণেই এই ঝগড়া শুরু হয়েছিল।
  • Link to this news (আজকাল)