এবার দার্জিলিঙের মহাকাল মন্দিরে জারি পোশাক ফতোয়া। মহিলারা আর শর্ট ড্রেস কিংবা স্কার্টে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। রীতিমতো নোটিশ টাঙিয়ে জানিয়ে দিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। এই নোটিশ ভাইরাল হতেই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহেই মন্দিরে দর্শনার্থীদের পোশাকবিধি নিয়ে একটি বৈঠকে বসেছিল কর্তৃপক্ষ। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মহিলাদের আর ছোট পোশাকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এরপরই মহাকাল মন্দির চত্বরে একটি পোস্টার সাঁটানো হয়। যেখানে উল্লেখ করা হয়, শর্ট ড্রেস কিংবা স্কার্টে মহিলাদের আর মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তবে এর সমাধানও বাতলে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। নির্দেশিকাতেই উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কোনও মহিলা খাটো পোশাক পরে আসেন এবং মন্দিরে প্রবেশ করতে চান তবে তিনি ডোনেশন কাউন্টার থেকে ভাড়ায় লম্বা ঝুলের ঘাগরা সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
যেহেতু এই এলাকা প্রার্থনার জায়গা, মানুষের শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও ভাবাবেগের সঙ্গে জড়িত তাই সঠিক পোশাকেই এই মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে, এমনটাই জানিয়েছে মহাকাল মন্দির পুজো কমিটি ও ওয়েলফেয়ার সোস্যাইটি। পুজো কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি পর্যটকরা এই নিয়ম সম্পর্কে অবহিত না থাকেন তাহলে তাঁদের প্রবেশের সময় পোশাক দেওয়া হবে মন্দির কমিটির তরফে। সেই পোশাক পরে দর্শনের পর ফের তা মন্দির কমিটিকে ফিরিয়ে দিতে হবে। মন্দির কমিটির সদস্যরা বিষয়টি সম্পর্কে নজরদারি চালাবেন। ধর্মীয় পরিবেশের মর্যাদা রক্ষা করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
পোশাক বিধি কার্যকর হওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে পর্যটকদের মধ্যে। কিছু দর্শনার্থীদের মতে, ‘মন্দির মানে তো একটা পবিত্র জায়গা। তাই সেখানে পোশাক নিয়ে কিছু বিধিনিষেধ থাকা একেবারেই স্বাভাবিক।’ স্থানীয়রাও মনে করছেন, এতে ধর্মীয় পরিবেশ অক্ষুণ্ণ থাকবে এবং পর্যটকদের মধ্যেও একধরনের শৃঙ্খলার বোধ তৈরি হবে। তবে পর্যটকদের অন্য একটি অংশের মতে, দার্জিলিঙের মতো ট্যুরিস্ট স্পটে নানা স্থান থেকে মানুষ ভিড় জমান। সেখানে সাইট সিনে বেড়িয়ে নির্দিষ্ট মন্দিরে যাওয়ার জন্য পোশাক বিধি মেনে চলা সম্ভব হবে না।
সম্প্রতি পাহাড় সফরে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মহাকাল মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন।