বীরভূমের আদিবাসী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য হল। আগামী শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) জেলার বিশেষ আদালতে প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। মঙ্গলবার অভিযুক্ত নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করে আদালত চত্বরে। নিহত ছাত্রীর পরিবার অভিযুক্তের চরম সাজা দাবি করেছে। পাশাপাশি, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিরও আবেদন আদালতে জানিয়েছে নিহতের পরিবার। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘চার্জ গঠন হয়েছে। ৩১ তারিখ থেকে বিচারও শুরু হবে। আশা করা যায়, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।’’
কুড়ি দিন নিখোঁজ থাকার পরে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর একটি সেচখাল থেকে সপ্তম শ্রেণির ওই আদিবাসী ছাত্রীর খণ্ডিত দেহাংশ বস্তাবন্দি অবস্থায় মেলে। ঘটনায় ছাত্রীটির স্কুলেরই শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে। ৩২ দিন জেল হেফাজতের পরে এ দিন ধৃতকে বিশেষ আদালতে হাজির করানো হয়। এজলাসে অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিচারকের কাছে আবেদন জানান। সে সময় অভিযুক্ত শিক্ষক নিজেই মামলা লড়বে বলে বিচারককে জানায়। পরে, জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের আইনজীবী শিক্ষকের পক্ষে মামলায় সওয়াল করতে রাজি হন।
অভিযুক্তের চরম সাজার দাবিতে বহু আদিবাসী সংগঠন সরব হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে। স্কুলের পরিচালন কমিটি তাকে নিলম্বিত করার জন্য শিক্ষা দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।