• ফিরুক বাবুই-বাসা, আর্তি বৈঁচির জগদ্ধাত্রী মণ্ডপে
    আনন্দবাজার | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • জগদ্ধাত্রী পুজোয় চন্দননগরের খ্যাতি ভুবনজোড়া। আড়ে-বহরে বিস্তার তেমন না হলেও হুগলির আরও কিছু জায়গায় এই পুজোর আড়ম্বর বাড়ছে। তার মধ্যে অন্যতম গ্রামীণ হুগলির বৈঁচি। এখানে পুজো শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। বুধবার সন্ধ্যায় মেঘলা আকাশ থাকা সত্ত্বেও বৃষ্টির আশঙ্কা নিয়েই বহু মানুষ মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরেছেন।

    বৈঁচি জগদ্ধাত্রী কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে ২৮টি পুজো হচ্ছে। রাস্তায় দর্শনার্থীকে স্বাগত জানাচ্ছে আলোর তোরণ। রাজপথ থেকে অলিগলি— আলোয় ভাসছে। আয়োজনের নিরিখে আমরা ক’জন, সবুজ সঙ্ঘ, জীবন সঙ্ঘ, নেতাজি সঙ্ঘ, গ্রিন স্টার সঙ্ঘ, আমরা সবাই, ইয়ং স্টার, চারাবাগান ইত্যাদি ক্লাবের পুজো উল্লেখযোগ্য। একাধিক পুজো মণ্ডপে নির্দিষ্ট বিষয় ভাবনার ছোঁয়া। কোথাও আবার থিমের বালাই নেই, আয়োজনে সাবেক রীতি। পান্ডুয়া ব্লক ছাড়াও হুগলির বিভিন্ন এলাকা, পার্শ্ববর্তী পূর্ব বর্ধমানের মেমারি, কালনা থেকেও বহু মানুষ এখানে ঠাকুর দেখতে আসেন।

    জীবন সঙ্ঘের পুজোর এ বার ৩৫তম বর্ষ। কর্মকর্তা দেবরাজ ঘোষ জানান, এ বারের থিম ‘শৈশবের পুতুল’। হারিয়ে যাওয়া পুতুলের ঝলক আলো-শব্দের খেলায়। গ্রিন স্টারের পুজোর বয়স ৪১তম বর্ষ। পুজোয় পরিবেশ সংরক্ষণের বার্তা। থিম— ‘বাবুই পাখি’। সম্পাদক লোকনাথ সাউ বলেন, ‘‘বর্তমানে গাছ কাটার জন্য বাবুই পাখির বাসা কমে গিয়েছে। পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। গাছ-পাখি না থাকলে আখেরে ক্ষতি মানুষেরও। তাই আমরা বলছি, নিজেদের ভালর জন্যই গাছ না কেটে সবাই যেন গাছ বসানোর উপরে জোর দেন।’’

    কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় রায় জানান, শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে বিসর্জন পর্ব শেষ হবে। ২৮টি পুজোই বিসর্জনের শোভাযাত্রায় যোগ দেবে। মণ্ডপে বা শোভাযাত্রায় যাতে তারস্বরে মাইক-বক্স না বাজে, সে ব্যাপারে প্রত্যেক পুজো কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া আছে। ডিজে নিষিদ্ধ। সরকারি নিয়ম মেনে পুজো করতে হবে।

    হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ভিড় সামাল দিতে যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত বৈঁচির কোঁচমালি এবং পান্ডুয়ার মধ্যে জিটি রোডে বড় গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা অটো-টোটোর জন্যেও।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)