অয়ন ঘোষাল: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কোনও কোনও জেলার আকাশ সকালের দিকে কিছুটা রোদের ঝলক দেখালেও বেলা বাড়লে মূলত মেঘলা আকাশ। উপকূল লাগোয়া এবং পশ্চিমের জেলায় ভারী বৃষ্টি। বাকি গাঙ্গেয়-সহ সমস্ত জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া।
ফের বিপর্যয়ের আশঙ্কা উত্তরবঙ্গে। ঘূর্ণিঝড় মন্থা শক্তিক্ষয় করে গভীর নিম্নচাপ রূপে ছত্তীশগঢ়, ঝাড়খন্ড, বিহার হয়ে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উত্তরবঙ্গের দোরগোড়ায়।
শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় মন্থা গভীর নিম্নচাপে পরিণত। উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ সংলগ্ন তেলেঙ্গানা থেকে গতকাল রাতে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে শুরু করেছে। ছত্তীশগঢ়, ঝাড়খন্ড, বিহার হয়ে আজ পৌঁছাবে উত্তরবঙ্গের দিকে। নেপাল, সিকিম, উত্তর বিহার, অসম এবং উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা।
আবহাওয়া দফতরের পরামর্শ:
★মৎস্যজীবীদের আজ সন্ধ্যে পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা।
★পার্বত্য এলাকায় ধসের আশঙ্কা। পাহাড়ের দৃশ্যমানতা কমতে পারে ভারী বৃষ্টির কারণে।
★ফসলের ক্ষতি হতে পারে। কৃষকদের পরামর্শ মাঠে পাকা ফসল থাকলে তা কেটে তুলে নেওয়ার জন্য বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের চাষীদের।
★নীচু এলাকায় জল জমতে পারে। বিশেষত উত্তরবঙ্গের একাধিক শহরের আন্ডারপাস সহ নিচু এলাকায় জল জমতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গে:
আগামীকাল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। উপকূলের জেলা দিয়ে শুরু হয়ে উত্তরবঙ্গ লাগোয়া জেলা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পূর্ব পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে।
উত্তরবঙ্গে:
উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। আগামীকাল ৩১ অক্টোবর শুক্রবার উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলাতে অতি ভারী বৃষ্টি অর্থাৎ ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা। ওই দিন ভারী বৃষ্টি হবে মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরেও। আজ ৩০ অক্টোবর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি জেলাতে।
২৯ থেকে ৩১ অক্টোবর উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে।
কলকাতায়:
কলকাতায় সকালের দিকে রোদের দেখা মিললেও বেলা বাড়লে আংশিক বা সম্পূর্ণ মেঘলা আকাশ। বিক্ষিপ্তভাবে দিনের বিভিন্ন সময় হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে দুই এক পশলা বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়ার পূর্বাভাস। দিনের তাপমাত্রা আগামী দুই দিন স্বাভাবিকের নিচে থাকবে। সামান্য বাড়তে পারে রাতের পারদ।