• সাহিত্য উৎসবে ডাক মেলেনি, ক্ষোভ বাড়ছে জঙ্গলমহলে
    আনন্দবাজার | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • কাল, শুক্রবার থেকে জঙ্গলমহল সাহিত্য উৎসব শুরু হচ্ছে পুরুলিয়ায়। চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের এ বার তৃতীয় বর্ষ। অভিযোগ, বিগত দু’বছরের মতো এ বারও ঝাড়গ্রাম জেলা সাহিত্য পরিষদের সদস্যরা ডাক পাচ্ছেন না সেখানে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। এই জেলার ২৬ জন কবি, সাহিত্যিক বুধবার এই নিয়ে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন। বাংলা আকাদেমি কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, উৎসবে যুক্ত হতে চেয়ে তাদের কাছে কোনও আবেদন আসেনি।

    জঙ্গলমহলের পাঁচ জেলা ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমের বিভিন্ন কবি, সাহিত্যিক এই উৎসবে যোগ দেন। প্রথম বছর মেদিনীপুরে ও গত বছর ঝাড়গ্রামে এই আয়োজন হয়েছিল। প্রথম বছর ২৪৩ জন ও দ্বিতীয় বছর ৪৯০ জন কবি, সাহিত্যিক যোগ দিয়েছিলেন। গত বছর ঝাড়গ্রামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে এসে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘আমরা চাইছি সমস্ত কবি, সাহিত্যিকেরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিন। যাঁদের আমরা এ বার সুযোগ দিতে পারিনি। তাঁদের পরের বছর সুযোগ দেব।’’ মন্ত্রীর কথায় আশা জেগেছিল লেখক, কবি, সাহিত্যিকদের সংগঠন ঝাড়গ্রাম জেলা সাহিত্য পরিষদের। ওই সংগঠনের সম্পাদক ধনঞ্জয় মান্নার দাবি, ‘‘সাহিত্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত এই জেলার একটা বড় অংশ যাঁদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তাঁরা এই সাহিত্য উৎসবে ডাক পান না। কেন তা নিয়ে আমরা অন্ধকারে। জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতর পর্যন্ত সঠিক তথ্য দিতে পারেনি।’’ আঞ্চলিক ভাষার লেখক ও আবৃত্তিকার মহাশিস মাহাতো ও অজিত কুমার রাউতেরও আক্ষেপ, ‘‘ঝাড়গ্রাম জেলায় যাঁরা ধারাবাহিকভাবে সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চার সঙ্গে যুক্ত তাঁরা জঙ্গলমহল সাহিত্য উৎসবে ডাক পাননি। আশা করি সংশ্লিষ্ট দফতর যত্নবান হবেন।’’

    কেন এই পরিস্থিতি? পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সচিব বাসুদেব ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের কাছে কেউ আবেদন জানাননি। আমরা জানতে না পারলে কী করে যুক্ত করব। এছাড়া ঝাড়গ্রাম তথ্য সংস্কৃতি দফতরে আবেদন জানালেও হত। তথ্য সংস্কৃতি দফতরের কাছে যে আবেদন জমা পড়ে, সেই আবেদন ওরা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। আমরা তো চাইছি আরও বেশি করে যুক্ত হোন। আমাদের না নেওয়ার কোনও কারণ নেই।’’ জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিক সন্তু বিশ্বাস অবশ্য বলছেন, ‘‘কারা সাহিত্য উৎসবে ডাক পাবেন সেই বিষয়টি আমাদের দফতর থেকে ঠিক করা হয় না। পুরোটাই হয় পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি থেকে।’’ তিনি জুড়ছেন, ‘‘অনুষ্ঠানের জন্য আমার কাছে কেউ আবেদন করেননি। কেউ হাতে লিখে আবেদন করলে সেক্ষেত্রে পাঠিয়ে দিতাম।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)