• দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য ও পর্ষদের বক্তব্য জানতে চায় হাই কোর্ট
    আনন্দবাজার | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য কী, তা জানতে চায় কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার এই মামলায় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, দুর্নীতি এবং জালিয়াতি নিয়ে বক্তব্যের পাশাপাশি সিবিআই তাদের চার্জশিটে যা উল্লেখ করেছে, সে ব্যাপারেও রাজ্যের বক্তব্য কী, তা জানতে চায় কোর্ট। পর্ষদ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের যে বিভাজন উল্লেখ করেছে, সে ব্যাপারেও বক্তব্য জানতে চেয়েছে কোর্ট। আদালতের খবর, ওই নম্বর বিভাজন থেকেই দেখা গিয়েছে যে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরাও চাকরি পেয়েছেন। আগামী ৬ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ৩২ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলছে। এ দিন শুনানিতে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, ফিরদৌস শামিম দাবি করেন যে এই নিয়োগে এস বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানিকে বরাত দেওয়া থেকেই দুর্নীতি শুরু হয়েছিল। ওই সংস্থাকে বেআইনি ভাবে নির্বাচন করা হয়েছিল এবং পর্ষদের নির্দেশ মেনে চলতে বলা হয়েছিল। ওই সংস্থার কর্তা (বর্তমানে প্রয়াত) গৌতম মুখোপাধ্যায় পর্ষদের সঙ্গে সমন্বয় করতেন। তিনি মারা যাওয়ায় সেই তথ্য উদ্ধার সম্ভব হয়নি। টেট-এর ভুল প্রশ্নের নিরিখে পর্ষদ পরবর্তী কালে মর্জিমাফিক এক নম্বর বাড়তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং তার ভিত্তিতে অনেকেচাকরি পেয়েছিল।

    এই প্রসঙ্গে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীরা জানান, অতিরিক্ত নম্বর যাঁরা পেয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে থেকে নিজেদের মর্জিতে বাছাই করে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। অতিরিক্ত নম্বর পেয়েও পাশ করেননি, এমন চাকরিপ্রার্থীকেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।

    সিবিআইয়ের চার্জশিটের সূত্রে এ দিন নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও নিশানা করেছেন বিকাশরঞ্জন। সেই সূত্রেই চার্জশিটের তথ্য তুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেছেন তিনি। বিকাশরঞ্জনের দাবি, বেআইনি নিয়োগের জন্য অভিষেক ১৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন এবং সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তা দিতে অপারগ হওয়ায় অভিষেক নিয়োগ বন্ধ করতে বলেছিলেন বলেও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, আগের নিয়োগ বাতিল করে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)