• কর্মরত শিক্ষকদের অতিরিক্ত নম্বর নয়, দাবি এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের
    আনন্দবাজার | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • কর্মরত শিক্ষকদের অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে শূন্য পদ বাড়িয়ে অন্তত এক লক্ষ করতে হবে। এই দাবি নিয়ে বুধবার সল্টলেকের বিকাশ ভবন অভিযান করলেন ২০২৫ সালের এসএসসির নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। এ দিন চাকরিপ্রার্থীরা মিছিল করে সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত যান। পরে আটজনের এক প্রতিনিধিদল বিকাশ ভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন।

    এসএসসির নতুন ওই চাকরিপ্রার্থীদের মতে, ইন্টারভিউয়ের আগেই কর্মরত শিক্ষকদের অতিরিক্ত ১০ নম্বর দিয়ে দিলে তাঁদের প্রতি চূড়ান্ত অবিচার করা হবে। এক চাকরিপ্রার্থী শিশির দাস বলেন, ‘‘ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকারের অনুচ্ছেদ ১৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সকলকে সমান অধিকার দিতে হবে। কর্মরত শিক্ষকদের অতিরিক্ত ১০ নম্বর দিলে সেই অধিকার খর্ব করা হবে। অতিরিক্ত ১০ নম্বর যেন না দেওয়া হয়, সেই দাবিতে আমরা হাই কোর্টে মামলাও করেছি।’’

    আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের মতে, ইন্টারভিউয়ের আগেই কর্মরত শিক্ষকেরা ১০ নম্বর করে পেয়ে গেলে তাঁরা অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়বেন। উদাহরণস্বরূপ তাঁরা বলছেন, ধরা যাক, কোনও নতুন চাকরিপ্রার্থী এবং কর্মরত শিক্ষক, দু’জনেই লিখিত পরীক্ষায় ৫২ পেলেন। সে ক্ষেত্রে কর্মরত শিক্ষকের নম্বর ৬২ হবে। এমনটা কেন হবে, সেই প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।

    আর এক দল চাকরিপ্রার্থীর প্রশ্ন, ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করেছে সু্প্রিম কোর্ট। তা হলে সেই বাতিল হওয়া প্যানেল থেকে কর্মরত শিক্ষকেরা কী ভাবে অতিরিক্ত ১০ নম্বর পাবেন? তাঁদের একাংশের মতে, অতিরিক্ত ১০ নম্বর চুক্তিভিক্তিক অভিজ্ঞ শিক্ষকদেরও দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের অতিরিক্ত ১০ নম্বর দিলে ইন্টারভিউয়ের পরে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তা ইন্টারভিউয়ের আগে কোনও ভাবেই দেওয়া যাবে না, এই দাবি করছেন তাঁরা।

    সেই সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের আরও দাবি, শূন্য পদের সংখ্যা এক লক্ষ করতে হবে। নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে এসএসসির মোট শূন্য পদ ৩৫৭২৬, যা খুবই কম। দশ বছরের বেশি সময় ধরে এসএসসি হয়নি। বেশির ভাগ স্কুলে একাধিক শূন্য পদ রয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে। ইন্টারভিউ চলাকালীন সিসিটিভি এবং অডিয়ো রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা রাখারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)