নাবালিকার রহস্যমৃত্যু, RG Kar কাণ্ডের আসামি সঞ্জয়ের দিদির বিরুদ্ধে খুনের মামলা
প্রতিদিন | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
অর্ণব আইচ: আর জি কর কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সঞ্জয় রায়ের নাবালিকা ভাগ্নির রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় এবার তাঁর দিদি ও জামাইবাবুর খুনের মামলা দায়ের হল। তাঁরা ওই নাবালিকার সৎ মা ও বাবা। পুলিশ সূত্রে খবর, নাতনির এই অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারেননি দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দা তথা ওই নাবালিকার ঠাকুমা প্রতিমা সিং। নিজের ছেলে ভোলা সিং ও পুত্রবধূ পূজা সিংয়ের বিরুদ্ধে আলিপুর থানায় নাতনিকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তবে ঠাকুমা ছাড়াও লিখিতভাবে ভোলা ও পূজার বিরুদ্ধে তাঁদের মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন আলিপুরের ডি এল খান রোডের বিদ্যাসাগর কলোনির কয়েকজন বাসিন্দাও। পুলিশের এক কর্তা জানান, যেহেতু অভিযোগ খুনের, তাই অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এর তদন্ত চলছে।
কিছুদিন আগে আলিপুরের ডি এল খান রোডে ঘরের ভিতর আলমারির রড থেকে ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বছর এগারোর ওই নাবালিকার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পরে জানা যায়, মৃত কিশোরী আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নি। সঞ্জয়ের এক দিদি ববিতা ও ভোলা সিংয়ের সন্তান ছিল ওই কিশোরী। তবে তার জন্মের সময় থেকেই পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার শ্যালিকা পূজার সঙ্গে ভোলার ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়। বোনের সঙ্গে স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক না মানতে পেরে সঞ্জয়ের দিদি ববিতা আত্মঘাতী হন। এরপর পূজাকে বিয়ে করেন জামাইবাবু ভোলা সিং। মাসি থেকে কিশোরীর সৎ মা হয়ে যান পূজা সিং।
মৃত কিশোরীর ঠাকুমা প্রতিমা সিংয়ের অভিযোগ, নাতনি প্রায়ই লুকিয়ে এসে তাঁর কাছে বাবা ও সৎ মায়ের বিরুদ্ধে মারধরের নালিশ করত। অভিযোগ জানাত যে পূজা নিজের সৎ মেয়েকে প্রায়ই মারধর করেন। এমনকী, কালীপুজো ও দীপাবলির আগে মেয়েকে বেল্ট দিয়ে পিটিয়েছিলেন বাবাও! সৎ মা ও বাবার অত্যাচারের কারণেই মেয়েটির মৃত্যু হয় বলেই অভিযোগ তার ঠাকুমা ও প্রতিবেশীদের। মেয়েটির দেহ আলমারি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়ার পর তার সৎ মা ও বাবাকে গণধোলাই দেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিবেশীরা অভিযোগ জানান, মেয়েটিকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে। অভিযোগকারী ঠাকুমা ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ বেশ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।