• SIR-এর আগেই নাম বাদ, কমিশনের ওয়েবসাইটে ২০০২-এর তালিকা নিয়ে বড় অভিযোগ তৃণমূলের
    এই সময় | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • ২০০২ সালের ভোটার তালিকার হার্ড কপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আপলোড করা সফট কপির মিল নেই বলে অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। আরও অভিযোগ, একাধিক ভোটারের নাম SIR-এর আগেই বাদ দেওয়া হয়েছে।

    এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। বিশেষত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ও কোচবিহার জেলার ভোটার তালিকা থেকে বেশ কিছু নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস।

    ২০০২ সালে শেষবার SIR হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। সেই তালিকাকেই মাপকাঠি ধরে নতুন বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২০১২ সালের ভোটার তালিকার সফট কপি কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। সেই তালিকা মিলিয়ে দেখতে হচ্ছে বর্তমান ভোটারদের। তৃণমূলের দাবি, SIR হওয়ার আগেই যে তালিকা কমিশনের তরফে আপলোড করা হয়েছে, সেখানেই বহু নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ, ২০০২ সালের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় সেই সব ব্যক্তির নাম ছিল। তৃণমূলের প্রশ্ন, এত জন ব্যক্তির একসঙ্গে মৃত্যু হয় কী করে? বা তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে উধাও হয়ে যায় কী করে?

    নাম বাদ যাওয়ার বেশ কিছু উদাহরণ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে। তৃণমূলের অভিযোগ, উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর বিধানসভার অন্তর্গত গুমা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় ৬১ নম্বর বুথে ক্রমিক সংখ্যা ৩৪৩ থেকে ৪১৪ নম্বর ভোটার উধাও। তৃণমূলের দাবি, এই ব্যক্তিদের নাম ২০১২ সালের তৎকালীন ভোটার তালিকায় ছিল। গুমা-১ পঞ্চায়েতেরই ১৫৯ নম্বর বুথের (২০০২-এর তালিকা অনুযায়ী ৫৪ নম্বর বুথ) সব ভোটারের নামই উধাও আপলোড করা তালিকায়।

    রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোটার তালিকা সংশোধন হবে। তার আগেই দেখছি অনেক নাম বাদ গিয়েছে। এটার কী জবাব দেবে কমিশন?’ তৃণমূলের অন্য এক মুখপাত্রের কথায়, ‘হার্ডকপিতে নাম আছে, এখন ওয়েবসাইটে নাম নেই। এলাকা ধরে ধরে নাম বাদ গিয়েছে। যাঁরা নাম আপলোড করেছেন তাঁদের কৈফিয়ত দিতে হবে।’

    কী কারণে ওয়েবসাইটের তালিকা থেকে এত নাম বাদ গেল, তার তদন্ত করা উচিত বলেও দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তৃণমূলের বক্তব্য, একজন ২০০২ সালে ভোট দিয়েছিলেন, এখন দেখছেন ওয়েবসাইট তালিকায় নাম নেই। কেন নেই? কোথায় সমস্যা? এসব বুঝতে বুঝতেই দু’মাস পার হয়ে যাবে। ফলত, সেই ভোটারের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, যা খুবই ‘ভয়ঙ্কর’ বলে দাবি তৃণমূলের।

  • Link to this news (এই সময়)