উদ্দাম যৌনতায় রাজি নন স্ত্রী! রাগে ছাদ থেকেই ছুড়ে ফেলল স্বামী, শিউরে ওঠা কাণ্ড এই রাজ্যে ...
আজকাল | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়ি ফিরেই শুধুই মারধর। তারপরেই জোর করে সঙ্গমের চেষ্টা। স্বামীর আচরণে রীতিমতো জেরবার ছিলেন স্ত্রী। সঙ্গমে লিপ্ত হতে রাজি না হওয়ায় মর্মান্তিক পরিণতি হল তাঁর। বাড়ির ছাদ থেকে তরুণীকে ছুড়ে ফেলে স্বামী।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৬ বছর বয়সি এক তরুণীকে বাড়ির তিনতলার ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। উদ্দাম যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার জন্য তরুণীকে জোরাজুরি করছিল তাঁর স্বামী। যাতে রাজি হননি তিনি। এর জেরেই স্ত্রীকে কড়া শাস্তি দিতে এহেন কাণ্ড ঘটায় স্বামী।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, মৌ রানিপুর থানার অন্তর্গত এলাকার বাসিন্দা তেজা নামের ওই তরুণী জানিয়েছেন, ২০২২ সালে মুকেশ আহিরওয়ার নামের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। এর আগে এক মন্দিরে দেখা হয়েছিল তাঁদের। তখনই তরুণীর দেখভালের ও সুখশান্তির দায়িত্ব নেয় সে। বিয়ের এক বছর পর্যন্ত সুখেই ছিলেন তাঁরা। সংসারে কোনও অশান্তি ছিল না।
বিয়ের এক বছর পর থেকেই অন্যত্র নানা অজুহাতে থাকতে শুরু করে মুকেশ। কখনও কখনও বাড়িতে ফিরলেই, রেজাকে মারধর করত। দীর্ঘদিন পর গত সোমবার সে বাড়ি ফেরে। সেদিন মারধর করে তেজার সঙ্গে জোর করে সঙ্গমে লিপ্ত হয় সে। এরপর মঙ্গলবার আবারও স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে। সেদিন ফের উদ্দাম যৌনতায় লিপ্ত হতে চায়। তখন বাধা দেন তেজা।
সঙ্গমে লিপ্ত হতে রাজি না হওয়ায় তেজাকে বাড়ির তিনতলার ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলে দেয় মুকেশ ও তার পরিবারের সদস্যরা। এলাকার বাসিন্দারা তেজার আর্তনাদ শুনেই ছুটে আসেন। বাড়ির নীচে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় কাতরাতে দেখেন। তড়িঘড়ি করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান সকলে মিলে। এরপর ঝাঁসি মেডিক্যাল কলেজে তরুণীকে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তরুণীর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে তারা।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে পর্ন ছবির আসক্তির জেরে এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। সদ্য বিয়ে হয়েছে। শুরুতে সবকিছুই ছিল রূপকথার মতো। ক্রমেই স্বামীর আচরণ বদলাতে শুরু করে। নিত্যদিন মদ্যপান নিয়ে অশান্তি হলেও, পরদিন মিটে যেত। কিন্তু স্বামীর দাবিদাওয়া বাড়তেই থাকে। সম্প্রতি পর্ন ছবি বানানোর জন্য স্ত্রীকে জোরাজুরি করেছিলেন। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়, স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করেন স্বামী।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, ২৫ জুন গভীর রাতে জবরসিং যাতব গোল্ডি নামের এক তরুণীকে কুপিয়ে খুন করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় নববধূকে দেখেই তাঁর পরিবারের সদস্যদের খবর দেন শ্বশুর ও শাশুড়ি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে রক্তমাখা ছুরি এবং জবরসিং যাতবের ফোন উদ্ধার করে। সেই ফোন থেকেই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হয়। জানা যায়, চার মাস আগেই গোল্ডি ও জবরসিং বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এক আত্মীয়ের মারফত দেখাশোনা করে বিয়ে হয় তাঁদের। বিয়ের কয়েক সপ্তাহ পর থেকে স্বামীর মদ্যপান নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়।
এদিকে জবরসিংয়ের পর্ন ছবির আসক্তি ছিল। রোজ তিনি পর্ন ছবি দেখতেন তাঁর ফোন থেকে বহু পর্ন ভিডিও পাওয়া গেছে। এমনকী নেট থেকে প্রায়ই অশ্লীল ছবি দেখে ডাউনলোড করে ফোনে রেখে দিতেন। সেদিন রাতে স্ত্রীকে পর্ন ছবি বানানোর জন্য জোরাজুরি করেন। স্ত্রীর অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে মত্ত অবস্থায় খুন করেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেরায় খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নিয়েছে।