আরও টাকার লোভ? শ্বশুরবাড়ির চরম নির্যাতন, সহ্য করতে না পেরে চরম পদক্ষেপ বধূর ...
আজকাল | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রে হাড়হিম কাণ্ড। নভি মুম্বইয়ে ঘটনাটি ঘটেছে৷ অতিরিক্ত পণ চাওয়ার শিকার এক বধূ। দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে এক বিবাহিতা মহিলা আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে পুলিশ মহিলার স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম বৈশালী বিনায়ক পাওয়ার (২১)। খবর অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১০ মে উমেশ পাওয়ারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।অভিযোগ, বিয়ের সময় বৈশালীর পরিবার শ্বশুরবাড়ির দাবি অনুযায়ী ২.৫ লক্ষ টাকা ও সোনার গয়না দিয়েছিল মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বৈশালীর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন একটি গাড়ি কেনার জন্য তাঁর উপর বাপের বাড়ি থেকে অতিরিক্ত ১ লক্ষ টাকা আনার জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিলেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশ মৃতার স্বামী, শাশুড়ি, শ্বশুর, ননদ ও অন্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সংবিধানের ৩০৪ (বি), ৩০৬, ৪৯৮ (এ) ধারা এবং পণপ্রথা নিরোধক আইনে মামলা রুজু করেছে।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অভিযুক্তরা। উমেশ পাওয়ার (স্বামী), অরুণা পাওয়ার (শাশুড়ি) এবং রমেশ পাওয়ার (শ্বশুর) বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে।
অন্যদিকে, রাজস্থানের টোঙ্ক জেলায় এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ওল্ড টোঙ্ক থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, তাঁর স্বামীই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কেরানি পদে কর্মরত তাঁর স্বামী। দিনের পর দিন তাঁদের মেয়েকে মারধর করা হত। সেই তাঁদের মেয়েকে খুন করেছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম মণীষা। কুলদীপ নায়েকের সঙ্গে প্রায় ছয় মাস আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল।
মণীষার ভাই প্রহল্লাদ। তিনি সওয়াই মাধোপুর জেলার মামদোলির বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, কুলদীপ প্রায়শই পণ চেয়ে চাপ দিত এবং পুলিশে চাকরি করার সুবাদে নিজের অবস্থানের সুযোগ নিয়ে মণীষার পরিবারকে ভয় দেখাতো।দাবি পূরণ না হওয়ায়, সে ক্রমাগত তার স্ত্রীকে মারধর করত।