আপনার বাড়িতে কোন BLO যাবেন? মোবাইল নম্বর, নাম জানুন এই পদ্ধতিতে
আজ তক | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
নির্বাচন কমিশন বাংলায় SIR ঘোষণা করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। গত মঙ্গলবার থেকে বাংলায় এসআইআর তথা ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন শুরু হয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে হুলস্থূল পড়ে গিয়েছে। বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও।
আপাতত ভোটার এনুমারেশন ফর্ম ছাপানো শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে বিএলও , ইআরও ও অন্যান্য নির্বাচনকর্মীদের প্রশিক্ষণ। আগামী ৪ নভেম্বর মঙ্গলবার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ফর্ম বিতরণ করবেন বিএলওরা। ভোটারদের নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ এবং ফর্ম ফিল-আপ তথা ভর্তি করার কাজ চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর বারবার জানিয়েছে,'কোনও বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না।' যাঁদের নাম বা পরিবারের সদস্যদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় রয়েছে, তাঁদের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেলানো হবে এবং নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এবার বুথ লেভেল অফিসারদের জন্য একগুচ্ছ গাইডলাইন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এই গাইডলাইন অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করতে হবে বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO)। তারা যখন বাড়িতে বাড়িতে যাবেন, তখন এই নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। গোটা এসআইআর (SIR) পর্বেই এই নির্দেশ মানতে হবে।
আপনার এলাকার BLO-র নাম জানবেন কী করে?
বিএলওদের নাম, মোবাইল নম্বর সব বুথে লিখে দেওয়া হবে। এছাড়াও সিইও বা জেলাশাসকের ওয়েবসাইটে গেলে জানা যাবে বিএলও’র নাম ও মোবাইল নম্বর। স্থানীয়ভাবে প্রচার হবে আপনার অর্থাৎ ওই অঞ্চলের বিএলও কে হচ্ছেন।
জানা যাচ্ছে, বর্তমান ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের কাছে এনুমারেশন ফর্ম পাঠানো হবে। ভোটারকে দেখা না পেলে, বাড়িতে লেটার বক্সে বা দরজার ফাঁকে ঢুকিয়ে দিয়ে আসতে হবে এনুমারেশন ফর্ম। বিএলও নির্বাচন কমিশনের দেওয়া মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভোটারদের লিঙ্ক দেখে নিতে পারবেন। ভোটারের এপিক নম্বর দিয়ে এই তথ্য পাওয়া যাবে। বিহারের এসআইআরে এই সুযোগ ছিল না। প্রতিটি এনুমারেশন ফর্ম জমা নেওয়ার পর বিএলওকে স্বাক্ষর করতে হবে। যে ফর্মটি ভোটার তার কাছে রেখে দেবেন, সেটিতেও বুথ লেভেল অফিসারের সই থাকবে। বিএলও-কে একাধিকবার এনুমারেশন ফর্ম জমা নেওয়ার জন্য আবেদনকারীর বাড়িতে যেতে হবে। তবে আবেদনকারী মনে করলে সরাসরি ইআরও অফিসে গিয়ে ফর্ম জমা দিতে পারবেন। কোনও ভোটার বাইরে থাকলে, ৪ নভেম্বরের পর থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সিইও ওয়েরসাইটে গিয়ে তাঁর এনুমারেশন ফর্ম অনলাইনে পূরণ করতে পারবেন।
বাইরে থাকলে কী করবেন?
কোনও ব্যক্তি কাজের জন্য বাইরে থাকলে তাঁর হয়ে পরিবারের অন্য সদস্য স্বাক্ষর করে জমা দিতে পারবেন। তবে স্বাক্ষরকারীকে লিখে দিতে হবে আবেদনকারীর নাম এবং তাঁর সঙ্গে সর্ম্পক। এনুমারেশন ফর্ম জমা দিলেই খসড়া ভোটার তালিকায় নাম উঠবে। জমা না দিলে ভোটার তালিকায় নাম ওঠার সুযোগ নেই। দের ২০০২-এর ভোটার তালিকায় কোনও লিঙ্ক পাওয়া যায়নি, তাদের ইআরও বা এইআরও শুনানিতে ডাকবেন। সাতদিন সময় দেওয়া হবে। শুনানিতে সব নথি নিয়ে হাজির হতে হবে। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দাবি ও আপত্তি শোনার জন্য ৫৪ দিন সময় থাকবে। যার ভিত্তিতে শুনানি হবে।
৭ ফেব্রুয়ারি ভোটার তালিকা প্রকাশের পর যদি দেখা যায় কারও নাম ভোটার তালিকায় ওঠেনি। তখন তিনি সরাসরি জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানাতে পারেন। সেখানে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে গেলে সিইও’র কাছে আবেদন করতে পারেন। তারপরও ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদন জানাতে পারেন। নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ পর্যন্ত এই আবেদন জানানো যাবে।
এনুমারেশন ফর্মে কী কী তথ্য দিতে হবে ভোটারকে?
প্রত্যেক ভোটারের কাছে ছবি, পার্ট নম্বর, বুথ নম্বর সহ ছাপানো দুটি এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছবে ৷ ফর্মে আগে থেকেই সংগ্রহ করা কিছু তথ্য দেওয়া থাকবে যেগুলো মিলিয়ে মিলিয়ে দেখতে হবে তথ্যগুলি ঠিক আছে কিনা।