প্রসেনজিৎ মালাকার: তরুণীকে 'ধর্ষণে' অভিযুক্ত দলীয় কাউন্সিলর! শুধু অভিযুক্ত-ই না, নির্যাতিতা অভিযোগকারিণীর দাবি কাউন্সিলের 'ধর্ষণে' গর্ভবতী হয়ে পড়েন তিনি। জন্ম দিয়েছেন এক সন্তানেরও! অভিযুক্ত সেই কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের রামপুরহাট শহর কমিটির সহ-সভাপতি প্রিয়নাথ সাউকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ বীরভূমের রামপুরহাটে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রিয়নাথ সাউকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন।
গতকাল বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের দু'বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর তথা রামপুরহাট শহর কমিটির সহ-সভাপতি প্রিয়নাথ সাউয়ের বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। সেই অভিযোগের বিষয়টি চাউর হতেই জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কড়া ব্যবস্থা নিল দল। তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে অভিযুক্ত প্রিয়নাথ সাউকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস।
অভিযোগ, স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে এক তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন প্রিয়নাথ সাউ ওরফে টিংকু নামে ওই কাউন্সিলর। ধর্ষণের ফলে তরুণী গর্ভবতী হয়ে এক সন্তানের জন্ম দেন। নির্যাতিতা তরুণীর দাবি, ২০১৫ সালে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গিয়ে প্রিয়নাথ সাউয়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ভোটার কার্ডের কাজে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে তিনি তরুণীকে নিজের বাড়িতে ডেকে নেন। তারপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। কিন্তু তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে অভিযুক্ত বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
যদিও গতকালই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রিয়নাথ সাউ। তিনি দাবি করেছেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এমনকি পুলিসে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও অভিযুক্ত ওই কাউন্সিলরকে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে দেখা যায় বলেও অভিযোগ। তবে ছবিটা বদলাল ২৪ ঘণ্টতেই। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সরাসরি দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হল অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে।