প্রসেনজিত্ সর্দার: এক নাবালিকা বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। মৃত বধূর নাম সারপিয়া ওরফে সুপ্রিয়া মল্লিক(১৬)। রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর এলাকায়। পুলিস ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত প্রায় ৬ মাস কৃষ্ণনগরের গেঁওয়াখালির সারপিয়া ওরফে সুপ্রিয়া মল্লিকের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে পাড়াই যুবক শেরালি মণ্ডলের। পরে বিয়ে হয়। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই প্রতিনিয়ত ওই নাবালিকা বধূর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতে স্বামী শেরালি। ঘটনার রাতে ওই নাবালিকা বধূ বাপের বাড়িতে ছিলেন। সেই সময় ওই নাবালিকার মা আজমীরা মল্লিক পাশের ঘরে ছিলেন। অভিযোগ সুযোগ বুঝে বধূকে বেধড়ক মারধর করে স্বামী শেরালি। এরপর ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার জন্য গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
ঘর থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যায় স্বামী। ঘটনা নজরে আসে এলাকার বাসিন্দাদের। তারাই প্রথমে ওই নাবালিকার মা ও পরে পুলিসকে ঘটনার কথা জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বাসন্তী থানার পুলিস। বধূর স্বামীকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করে। পাশাপাশি নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে বাসন্তী ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিস মৃতদেহটি বুধবার ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
নাবালিকা বধূর মায়ের অভিযোগ, ‘বিয়ের পর থেকে প্রতিনিয়ত মেয়েকে মারধর করত জামাই শেরালি মণ্ডল। এমনকী মেয়েকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিল জামাই। এদিন ঘরের মধ্যে মেরে খুন করে মেয়েকে। ঘটনা ধামা চাপা দিতে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। ওর যেন চরম শাস্তি হয়। পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছি।’