কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: শুরুর আগেই ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যক ভোটারের নাম মুছে দিয়েছে কমিশন (Election Commission)। এমন অভিযোগ আসছে। SIR মানে সাইলেন্ট ইনভিজিবল রিগিং। চুপিচুপি কারচুপি। ২০০২-এ নাম থাকলেও (Voter List) এখন কমিশন যেটা ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে তাতে নাম উধাও। অনেকের কাছেই ২০০২-এর হার্ড কপি আছে। শুরু হওয়ার আগেই এই মারাত্মক কারচুপি। ভয়ংকর অভিযোগ তৃণমূলের।
আজ তৃণমূল ভবনে SIR নিয়ে (SIR in Bengal) সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ। দাবি করলেন, "বুথ ২ নাটাবাড়ি কোচবিহারে দেখা যাচ্ছে ২০০২-এর লিস্টে ৭১৭টি নাম ছিল। এখন আপলোডেড লিস্টে দেখা যাচ্ছে ১৪০। বাকিরা কোথায় গেলেন?" প্রশ্ন তাঁর। তাঁর আরও দাবি, "উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের ১৫৯ নম্বর বুথে এখন দেখা যাচ্ছে কোনও ভোটার নেই। কিন্তু এই বুথে ৯০০ ভোটার ছিল।" তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, "অনেক হিন্দু ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে।"
কুণাল ঘোষের দাবি, SIR নিয়ে কমিশনের এই 'কারচুপি' সামনে আনতে যথার্থ তদন্ত দরকার। দলীয় কর্মী-নেতাদের নির্দেশ দিলেন, এলাকার প্রতি বাড়িতে নজর রাখতে। বললেন, "একটা বড় চক্রান্ত হচ্ছে। তৃণমূল কর্মীরা সজাগ থাকুন। এলাকার প্রতি বাড়িতে নজর রাখুন। মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছে প্রতিটি কর্মীকে এলাকায় নজর রাখতে। একজন বৈধ ভোটারের নাম যেনো বাদ না যায়।" ওদিকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তোপ দাগেন, "উৎসবে সামিল বাংলাকে পর্যুদস্ত করার ষড়যন্ত্র কেন্দ্র ও কমিশনের। বাংলাকে ভয় দেখাতে গিয়ে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণের। বাংলার মানুষ এটা বরদাস্ত করবে না।"
প্রসঙ্গত, SIR নিয়ে বাংলার জন্য ভোটার হেল্পলাইন চালু করেছে কমিশন। SIR বোঝা বা কোনওকিছুতে কোনও অসুবিধা হলে সরাসরি ওই ভোটার হেল্পলাইন (১৯৫০)-তে ফোন করতে পারবে মানুষ। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাদের নথিপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাঁদেরও চিন্তার কোনও কারণ নেই। তাঁদের রেকর্ড সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে রয়েছে রয়েছে। তাঁদেরকে ডুপ্লিকেট ডকুমেন্টস জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের পক্ষ থেকে পুনরায় তৈরি করে দেওয়া হবে। যে জন্য বিশেষ ক্যাম্প করা হচ্ছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং দার্জিলিং জেলায়।