নেই ২০০২ সালের কোনও নথি, SIR কি নাগরিকত্বও কাড়বে? আতঙ্কে সাবেক ছিটমহলবাসী
প্রতিদিন | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার, কোচবিহার: এসআইআর (SIR News) কি ফের কেড়ে নেবে নাগরিকত্বের অধিকার? ফের কি ‘অনাথ’ হয়ে যাবেন তাঁরা? নতুন করে এখন এই আতঙ্কে ভুগছেন সাবেক ছিটমহলের প্রায় বারো হাজার বাসিন্দা। এসআইআর করার ক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় ২০০২ সালের যাদের নাম ছিল, সেটাকে মানদণ্ড করা হয়েছে। তবে সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দারা ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাদের মধ্যে কারও কাছে ২০০২ সালের কোনও ধরনের নথিপত্র নেই।
এই পরিস্থিতিতে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ ছড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, ছিটমহল বিনিময়ের পর সেখানকার বাসিন্দারা নাগরিকত্ব-সহ আধার কার্ড, ভোটার কার্ড প্রভৃতি শংসাপত্র পেলেও সেই বিনিময়ের আগে সাবেক ছিটমহলের পরিবারগুলির যে সমস্ত কন্যাদের অন্যত্র বিয়ে হয়েছিল, তাঁদের আগের থেকেই নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। এবার তাঁদের সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন ওই পরিবারের সদস্যরা।
সাবেক ছিটমহল মধ্য মশালডাঙার বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন বলেন, “এসআইআর করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ঠিক করেছে ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় যাদের নাম ছিল, সেটাকে ভিত্তি করেই নতুন সংশোধিত তালিকা তৈরি করা হবে। তবে সেই ক্ষেত্রে সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের কি হবে? সেটার কোথাও কোনও উল্লেখ নেই।” সাবেক ছিটমহল এলাকার বাসিন্দারা ২০১৫ সালে নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাদের কি পুনরায় নাগরিকের অধিকার হারাতে হবে? এখন সেই আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, বহু পরিবার রয়েছে যারা নিজের মেয়েদের বিয়ে ছিটমহল বিনিময়ের আগেই দিয়েছিল। তাঁরাও এখনও নাগরিকত্ব পায়নি। এই মেয়েদের কি হবে, সেটা নিয়েও তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বছরের পর বছর নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত থাকা ছিটমহলের বাসিন্দাদের সমস্যার সমাধান করতে বিনিময় করা হয়েছিল ছিটমহল। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ভারত ও বাংলাদেশের মাঝে বিনিময় হয়েছিল ছিটমহল। ভারতের অধীনে থাকা ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশকে প্রদান করা হয়েছিল এবং ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বাংলাদেশি ৫১টি ছিটমহল। এবার যাঁরা ভারতে যুক্ত হয়েছিলেন, তাঁরাই এসআইআর আতঙ্কে ভুগছেন।