• কৃষ্ণনগরের বুড়িমা, ভক্তদের বিশ্বাসে মোড়া ২৫৩ বছরের ঐতিহ্য
    এই সময় | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে জমজমাট কৃষ্ণনগর। চন্দননগরের পাশাপাশি নদিয়ার কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো হলেও, এখানে পুজো শুরু হয় নবমী থেকে। আজ, বৃহস্পতিবার নবমী। উৎসবের আনন্দে সেজে উঠেছে পুরো শহর। আর কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই চাষাপাড়ার ঐতিহ্যবাহী বুড়িমার পুজো। ভক্তরা ভোররাত থেকেই ভিড় জমিয়েছেন এই মণ্ডপের সামনে। কৃষ্ণনগরে ছোট-বড় মিলিয়ে অনেক পুজো হলেও, বুড়িমা-কে ঘিরে ভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে। দূর দূরান্ত থেকে বহু দর্শনার্থী ছুটে আসেন শুধুমাত্র বুড়িমা-কে এক ঝলক দেখতে।

    ঐতিহ্যবাহী বুড়িমা এই বছর ২৫৩তম বর্ষে পা দিয়েছে। কথিত আছে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা করেছিলেন। ঐতিহ্য এবং সাবেকিয়ানাই কৃষ্ণননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর বিশেষ আকর্ষণ।

    ঐতিহ্যবাহী বুড়িমা এই বছর ২৫৩তম বর্ষে পা দিয়েছে। এখানে মণ্ডপসজ্জা বা থিমে কোনও জাঁকজমক নেই। ভক্তদের বিশ্বাস, বুড়িমা অত্যন্ত জাগ্রত এবং কেউ ভক্তি ভরে কিছু চাইলে তিনি খালি হাতে ফেরান না। পুজো কমিটির সম্পাদক গৌতম ঘোষ জানিয়েছেন, ভক্তদের মানত করে দেওয়া প্রায় ১০ থেকে ১২ কেজি সোনার গয়নায় সেজে উঠেছেন দেবী।

    বুড়িমার কপালে সোনার টিপ, মাথায় সোনার মুকুট এবং গলায় সোনার চিক, সীতাহার। দেবীর হাত ভর্তি সোনার বালা, মানতাসা এবং জড়োয়ার সেট। পায়ের নুপুরও তৈরি করা হয়েছে সোনা দিয়ে। শুধু দেবী নন, তাঁর বাহন সিংহকেও পরানো হয়েছে স্বর্ণলঙ্কার ও সোনার মুকুট।

    চাষাপাড়া বারোয়ারির বুড়িমা-কে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনার শেষ নেই। তাই ভিড় সামাল দিতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে কৃষ্ণননগরকে। শনিবার বুড়িমার শোভাযাত্রা। সেই জন্যে প্রশাসন তৎপরতাও তুঙ্গে। সেই কারণে এখন থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিসর্জন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।

  • Link to this news (এই সময়)