যুবকের নাম রোহিত আর্য। মুইম্বয়ের পওয়াইের ১৭ শিশুকে পণবন্দি করে রেখেছিলেন তিনি। একাধিক সূত্রে, পণবন্দি শিশুর সংখ্যা ২০ বলেও জানা গিয়েছে। ওই জায়গায় মূলত অভিনয়ের ক্লাস চলত। অন্যান্য দিনের মতোই সেদিনেও বহু শিশু উপস্থিত হয়েছিল সেখানে। আরএ স্টুডিও নামক একটি ছোট ফিল্ম স্টুডিওর ভিতরে। রোহিত আর্য একদল শিশুকে "অডিশন" দেওয়ার জন্য ডেকেছিলেন সেখানে। আচমকা সকলকে চলে যেতে বলে, সেখানে শিশুদের বন্দি করে রাখেন রোহিত। ভিডিও বার্তায় ছড়িয়ে দেন পণবন্দি করার ঘটনা। জানিয়ে দেন, যা কিছু ঘটতে পারে, যে কোনও মুহূর্তে। পুলিশ জানিয়েছে, ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের প্রায় দু' ঘন্টা ধরে আটকে রেখেছিলেন রোহিত। তাঁর দাবি মানা না হলে, ওই স্টুডিওতে আগুন ধরিয়ে দেবেন, এমন ভয়াবহ বার্তাও দেন ভিডিওর মাধ্যমে।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, 'আমি রোহিত আর্য। আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার পরিবর্তে, আমি একটি পরিকল্পনা করেছি এবং এখানে কিছু শিশুকে পণবন্দি করে রাখছি।' তিনি বলেন, 'সহজ দাবি, নৈতিক দাবি, এবং কয়েকটি প্রশ্ন রয়েছে আমার।' তিনি শিশুদের বদলে যদিও কোনও টাকা পয়সা দাবি করেননি। কেবল নিজের কথা বলতে চেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলেন, 'আমি সহজ কথাবার্তা বলতে চাই, আর সেই কারণেই আমি এই শিশুদের পণবন্দি করে রেখেছি। যদি আমি বেঁচে থাকি, আমি এটা করব, যদি আমি মারা যাই, অন্য কেউ করবে, কিন্তু এটা অবশ্যই ঘটবে।'
বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো নাগাদ, পুলিশের কাছে খবর পৌঁছতেই, পুলিশ তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করে রোহিত নামক ওই যুবকের সঙ্গে। তাঁর দাবিদাওয়া শোনা হয়। পুলিশ ওই শিশুদের মুক্তি দেওয়ার কথা বললে, সেই প্রসঙ্গে কিছুতেই সম্মতি দেননি রোহিত। একাধিকবার আলোচনায় ব্যর্থ হয়ে, বহু দলে ভাগ হয়ে পুলিশ কর্তারা ওই স্টুডিওতে ঢুকে পড়েন।
এর পরেই শুরু হয় উদ্ধারকার্যের রুদ্ধশ্বাস গুলির লড়াই পর্ব। রোহিত এয়ার গান থেকে গুলি চালান। পুলিশ পালটা গুলি চালালে, আহত হন যুবক। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, শেষ রক্ষা হয়নি। ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলেই তথ্য সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য, পণবন্দি করে রাখা সকল শিশুকেই উদ্ধার করা হয়েছে সুস্থভাবে।