ঋণের বোঝায় জর্জরিত! ক্যাম্পাসের আবাসনে ‘আত্মঘাতী’ জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রক্টর
প্রতিদিন | ৩১ অক্টোবর ২০২৫
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: বাজারে প্রচুর টাকা ঋণ! তা মেটাতে না পেরে মানসিক চাপ! তার জেরে ‘আত্মঘাতী’ কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রক্টর। ক্যাম্পাসের ভিতর মিলল তাঁর ঝুলন্ত দেহ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম বিবেকানন্দ বিশ্বাস। তিনি জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রক্টর হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট হোস্টেলের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন বিবেকানন্দবাবু।
বৃহস্পতিবার সকালে আবাসন থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পারেন বিবেকানন্দাবাবুর স্ত্রী কল্পনা বিশ্বাস। তাঁর চিৎকার শুনে ছু্টে আসেন বাকিরা। বিবেকানন্দ বাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কেন আত্মহত্যা তা নিয়ে ধোঁয়াশা। তবে পুলিশ ও পরিবারের প্রাথমিক অনুমান, প্রচুর টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বিবেকানন্দবাবু। কী কারণে ঋণ তা জানেন না তাঁর স্ত্রী ও মেয়েও। অনুমান, ঋণে জর্জরিত হয়ে, মানসিক চাপেই তিনি এই পথ বেছে নিয়েছেন।
জলপাইগুড়ি গভমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় বলেন,কী কারণে আত্মহত্যা তা বলতে পারব না। তবে আমার ভালো সহকর্মীকে হারালাম। মৃতের স্ত্রী কল্পনা বিশ্বাস বলেন, “রাতে আমরা দীর্ঘসময় কথা বলেছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি এই অবস্থা।” দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।