এই সময়, নওদা: নকল সোনার গয়না দিয়ে আসল সোনা হাতানো! এমনই অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের নওদার এক স্বর্ণ ব্যবসাসীর বিরুদ্ধে। ধৃত হাবিব শেখ ওরফে বান্টি নওদা থানার কিশোরিটোলার বাসিন্দা। বুধবার দুপুরে পুলিশ নওদার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে উদ্ধার হয় আসল সোনা!
পুলিশ সূত্রের খবর, নদিয়ার তাহেরপুরের কালিনারায়ণপুরের সোনা ব্যবসায়ী প্রহ্লাদ বিশ্বাসের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে আলাপ হয় হাবিবের। ডোমকলের জিতপুরে একটি সোনার দোকান খোলার কথা জানতে পেরে হাবিব তাঁকে সাহায্যের কথা জানান। এতে হাবিবের প্রতি প্রহ্লাদের বিশ্বাস জন্মায়। বুধবার নদিয়া থেকে নওদা আসেন তিনি। সঙ্গে ছিল প্রায় ৩৩ ভরি কাঁচা সোনা। গয়না বানাতে সেই সোনা হাবিবকে দেন।
এর পরে প্রহ্লাদকে বাড়িতে বসিয়ে হাবিব সোনা নিয়ে দু’ঘন্টার জন্য চলে যান। ফিরে হাবিব জানান, তাঁকে যে সোনা দেওয়া হয়েছে, তা নকল। প্রহ্লাদ বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এর পরে প্রহ্লাদ নওদা থানায় বিষয়টি জানান। থানার ওসি কওসর হোসেন মণ্ডল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নকল সোনা বাজেয়াপ্ত করেন। দু’জনকে থানায় নিয়ে আসেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে হাবিবকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে হাবিবকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ আসল সোনা উদ্ধার করে।
বেলডাঙার এসডিপিও উত্তম গড়াই বলেন, ‘স্বর্ণ ব্যবসাসী সেজে সোনা ছিনতাই থেকে জালিয়াতি চক্র চালানোর অভিযোগে হাবিব গ্রেপ্তার হয়েছে। ২০২২–এ হরিহরপাড়ার এক সোনা ব্যবসায়ীর থেকে সোনা ও হীরে মিলিয়ে দু’কোটি টাকার গয়না লুট করেছিল হাবিব ও তাঁর দলবল। ওই মামলায় হাবিবের জেল হেফাজত হয়।
তিন মাস আগে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের জালিয়াতি করে আবার গ্রেপ্তার হলো।’ ধৃতকে বৃহস্পতিবার বহরমপুরের সিজেএম আদালতে তোলা হাজির করানো হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে। এসডিপিও জানান, আদালতের নির্দেশে ওই সোনা প্রহ্লাদকে ফেরানো হবে। নওদা থানার এক কর্তা বলেন, ‘সোনার ব্যবসায়ীদের প্রতারণার এমন ঘটনায় আমরা কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছি।’