• অনুশীলনে বিরতি ইস্টবেঙ্গলে, ডার্বির প্রস্তুতি শুরু মোহনবাগানে
    আনন্দবাজার | ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে কলকাতার দুই প্রধানের অন্দরমহলের পরিবেশ। চেন্নাইয়িন এফসি-কে ৪-০ চূর্ণ করেসুপার কাপের ডার্বির আগে দমবন্ধকর পরিবেশ উধাও ইস্টবেঙ্গল থেকে। ডেম্পোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে প্রবল চাপে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।

    সুপার কাপ খেলতে গোয়া পৌঁছনোর পর থেকেই অভ্যন্তরীণ অশান্তিতে জর্জরিত ছিল ইস্টবেঙ্গল। অস্কার ব্রুসোর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে গোলরক্ষক কোচ সন্দীপ নন্দী দল ছেড়ে কলকাতায় ফিরে গিয়েছেন। তার পরে প্রথম ম্যাচেই বিদেশিহীন ডেম্পোর সঙ্গে ড্র করে সুপার কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার আতঙ্ক। মঙ্গলবার মরণ-বাঁচন ম্যাচে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে ৪-০ জয়ের পরেও ইস্টবেঙ্গল শিবিরে খুব বেশি উচ্ছ্বাস ছিল না। আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল মোহনবাগান-ডেম্পো দ্বৈরথ।

    চেন্নাইয়িনকে ২-০ হারিয়ে সুপার কাপে যাত্রা শুরু করা জেমি ম্যাকলারেনরা ডেম্পোর বিরুদ্ধে জিতলে ডার্বির আগে চাপ আরও বাড়ত ইস্টবেঙ্গলের। কারণ, শেষ চারে উঠতে হলে মোহনবাগানকে হারাতেই হত। কিন্তু জেসন কামিংসরা ডেম্পোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করতেই ছবিটা বদলে গিয়েছে। মোহনবাগানকে টপকেইস্টবেঙ্গল শুধু ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষ স্থানই দখল করেনি, শেষ চারে ওঠার জন্য ডার্বিতে ড্র করলেই চলবে মশালবাহিনীকে। পাশাপাশি প্রার্থনা করতে হবে ডেম্পো যেন তিন বা তার বেশি গোলে চেন্নাইয়িনকে না হারায়। কারণ, ডেম্পোর এখন ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট। চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে জিতলেও গোয়ার দলেরও পয়েন্ট হবে পাঁচ। তাই ডার্বিতে জেতা ছাড়া অন্য কোনওভাবনা নেই ইস্টবেঙ্গলে।

    কলকাতার দুই প্রধানেরই সংগ্রহে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট। ইস্টবেঙ্গল গোল করেছে ৬, খেয়েছে ২। মোহনবাগান এখনও পর্যন্ত কোনও গোল না খেলেও করেছে মাত্র ২। এই কারণেই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হওয়া সত্ত্বেও টেবলের দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে মোহনবাগান। ফলে শেষ চারে ওঠার জন্য সদ্য আইএফএ শিল্ড চ্যাম্পিয়নদের সামনে জেতা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই। মোহনবাগান রক্ষণের অন্যতম ভরসা টম আলড্রেড অবশ্য ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী। বলেছেন, ‘‘ডার্বি জেতার লক্ষ্য নিয়েই আমরা খেলতে নামি।’’

    ডার্বি জয় পাখির চোখ করলেও অস্কার বুধবার ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছিলেন। জিমে শারীরিক কসরৎ করেন মিগুয়েল ফিগুয়েরা-রা। মোহনবাগান কোচ হোসে ফ্রান্সিসকো মলিনা যদিও সময় নষ্ট না করে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই উতোরদায় প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছিলেন। অনুশীলন শুরুর আগে ফুটবলারদের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ কথাও বলেছেন তিনি। কারণ, ডেম্পোর বিরুদ্ধে জিততে না পারার জন্য মলিনাকেই অনেকে দায়ী করছেন। দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করা ম্যাকলারেনকে কেন মঙ্গলবার প্রথম একাদশে রাখেননি? কেন ফতোরদা স্টেডিয়ামে খেলে বড় হওয়া লিস্টন কোলাসোকে জার্সি দেননি? ডেম্পো রক্ষণাত্মক খেলা সত্ত্বেও কেন স্ট্রাইকার মনবীর সিংহকে ৭০ মিনিট পর্যন্ত রিজ়ার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন?

    ডার্বির আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে অস্কার হয়তো রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোবেন। মলিনা কি পারবেন?
  • Link to this news (আনন্দবাজার)