দলীয় প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে গুলিতে খুন হলেন জন সুরাজ পার্টির এক সমর্থক। বৃহস্পতিবার বিহারের পাটনার মোকামা বিধানসভা এলাকার তাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম দুলারচাঁদ যাদব। আগামী ৬ নভেম্বর বিহার বিধানসভার প্রথম দফার নির্বাচন। তার আগেই এই খুনের ঘটনা নিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা।
এই ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন জেডিইউ-এর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি। প্রশান্ত কিশোর (পিকে)-র অভিযোগ, সেখানে যে পরিবর্তন হতে চলেছে তার আঁচ পেয়েছে জেডিইউ এবং বিজেপি। এই কারণে ভয় পেয়েই এই ধরনের হামলা চালানো হচ্ছে।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন আরজেডি-র নেতা তেজস্বী যাদব। তাঁর দাবি, নির্বাচনের সময়ে এই জাতীয় হিংসার ঘটনার কোনও প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হওয়ার পরেও মানুষ খোলাখুলি ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছে। দুলারচাঁদ যাদবকে হত্যার ঘটনায় দেখিয়ে দিচ্ছে এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থা। কাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছিল তাও দেখতে পাচ্ছেন বাসিন্দারা।’
পাটনা জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মোকামার তাল এলাকায় দুটি দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময়ে মৃত্যু হয়েছে দুলারচাঁদ যাদবের। মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগে একাধিক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ আছে। পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
অন্য দিকে, পটনার এসএসসি কার্তিকেয় কে শর্মা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, তাল এলাকায় ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার জন সুরাজ পার্টির প্রার্থী প্রিয়দর্শী পীযূষের সমর্থনে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। তাতেই ছিলেন দুলারচাঁদ। একই সময়ে সেখানে মিছিল করছিল জেডিইউ। জন সুরাজ পার্টি এবং জেডিইউ-এর মিছিল মুখোমুখি হতেই সংঘর্ষ শুরু হয়। সেই সময়েই গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুলারচাঁদের।
জন সুরাজ পার্টির প্রেসিডেন্ট মনোজ ভারতীর অভিযোগ, জঙ্গলরাজের ভয় দেখিয়ে যারা ভোট আদায় করতে চাইছেন, তাদের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। এটা গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর হামলা বলেও দাবি তাঁর।
ওই কেন্দ্রে জেডিইউ-এর প্রার্থী হিসেবে অনন্ত সিং এবং আরজেডি-র হয়ে বীণা দেবী লড়াই করছেন। অনন্ত সিং-এর অভিযোগ, তাঁর কনভয়ে হামলা চালায় বিরোধীরা। আরজেডি প্রার্থীর স্বামী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলেও দাবি করেন তিনি।
ঘটনার পরে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।