ছট মাতার অপমান সহ্য করবে না বিহার, কংগ্রেস ও আরজেডিকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর
বর্তমান | ৩১ অক্টোবর ২০২৫
পাটনা: ভোটের আগেই ছট পুজো। বিহারবাসীর সবচেয়ে বড় উৎসব। সেই উৎসবকেই প্রচারের জন্য পাখীর চোখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লিতে ছট পুজো উপলক্ষ্যে স্নান সেরে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন ‘আমি তোমাদেরই লোক’। এরপরই তাঁকে নিশানা করেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা ঘাট তৈরি করা হয়েছিল। যাতে বিশুদ্ধ জলে স্থান সারতে পারেন মোদি। সবাই যখন নোংরা জলে ছট উৎসব পালন করছেন, তখন প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল। বৃহস্পতিবার বিহারের নালন্দাতেও একই অভিযোগ করেন তিনি। মোদির এই কাজকে ‘নাটক’ বলেও মন্তব্য করেন রাহুল। আর রাহুলের তোলা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ‘ছট মাতা’র অপমানের জন্য রাহুলকে কাঠগড়ায় তুললেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার মুজফ্ফরপুরে কংগ্রেস এবং আরজেডিকে একহাত নিয়ে মোদি বলেন, ভোট পেতে এই দুই দল ‘ছট মাতার অপমান করেছে। এর জন্য কয়েক শতাব্দী বিহারের মানুষ এদের ক্ষমা করবে না।’ এদিন ছটের ভাবাবেগকে উস্কে দিয়ে আগাগোড়া বিহারবাসীর মন জয়ের চেষ্টা করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ছটের পর এই প্রথম বিহারে এলাম। এখন এই উৎসব সারা বিশ্বে সমাদৃত। কেবল আত্মোৎসর্গ নয়, এই উৎসব সাম্যের কথা বলে। তাই ইউনেসকো যাতে এই উৎসবকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করে, তার চেষ্টা চালাচ্ছে আমার সরকার।’ নিজেকে দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ছেলে যখন ছটকে সম্মানিত করার চেষ্টা করছে, তখন কংগ্রেস এটাকে নাটক, নটাঙ্কি বলছে।’
এদিন মোদি আরজেডি-কংগ্রেস জোটের বিরোধও উসকে দিতে চেয়েছেন। তাঁর মতে, আরজেডির উত্থানকে আটকাতে চাইছে কংগ্রেস। তাই তারা এমন নেতাদের টিকিট দিয়েছে যারা বিহারের সুনাম নষ্ট করছে। তাঁর কথায়, ‘কংগ্রেস এবং আরজেডির জোট যেন তেল এবং জলের মিশেল। তারা কখনও মিশবে না।’ ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। নালন্দায় তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মাকে অপমান করেছে জোটের নেতারা। এরা ছট মাকে অপমান করেছে। তাই বিহারের মানুষ প্রতিশোধ নেবেন। আর এই জোট ভোটে সাফ হয়ে যাবে।’
এদিন নালন্দার জনসভা থেকে বিজেপি এবং এনডিএ-কে আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। বিহারের এখন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়, কাজ দরকার। তিনি বলেন, ‘বিহারের এখন পরিবর্তন চাই। এমন দল বা জোটকে ক্ষমতায় আনুন, যাঁরা বিহারের সম্মান ফেরাবে। যুবক এবং কৃষকের কথা ভাববে।’