• জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে চিতাবাঘের আতঙ্ক, বসল খাঁচা
    বর্তমান | ৩১ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: শহর লাগোয়া ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এরই জেরে ওই বাগানে খাঁচা বসাল বনদপ্তর। বৃহস্পতিবার ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের ৯ নম্বর সেকশনে ছাগলের টোপ দিয়ে একটি খাঁচা বসানো হয়েছে। যদিও খাঁচায় চিতাবাঘ ধরা না পড়া পর্যন্ত আতঙ্কমুক্ত হতে পারছেন না বাগানের চা শ্রমিকরা।

    শ্রমিকদের দাবি, গত মঙ্গলবার রাতে ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের ডাঙা লাইনে হানা দেয় চিতাবাঘ। মহল্লায় ঢুকে এক শ্রমিকের ঘরের বারান্দা থেকে ছাগল তুলে নিয়ে চলে যায়। পরে বেশ কিছুটা দূরে ছাগলটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এলাকায় চিতাবাঘের পায়ের ছাপ মেলে। এরপরই চা বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। বাগানের তরফে বিষয়টি জানানো হয় বনদপ্তরকে। কিন্তু বুধবার বনদপ্তরের কর্মীরা বাগানে না পৌঁছনোয় চিতাবাঘের আতঙ্কে হাতে লাঠি ও টর্চ নিয়ে রাত পাহারা দেন শ্রমিকরা। অবশেষে এদিন সকালে খাঁচা নিয়ে ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে পৌঁছন বনকর্মীরা। 

    গোরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের সহকারী আধিকারিক রাজীব দে বলেন, চিতাবাঘের আতঙ্ক থাকায় ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে একটি খাঁচা পাতা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। বাগানের শ্রমিকদেরও সতর্ক করা হয়েছে। শিশুরা যাতে সন্ধ্যার পর একা বাইরে না বের হয় কিংবা শ্রমিকরাও যাতে রাতের বেলা সাবধানে চলাফেরা করেন, সে ব্যাপারে জানানো হয়েছে তাঁদের।

    ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের শ্রমিক সারুপ হোসেন বলেন, আমাদের বাগানে মাঝেমধ্যেই শিয়াল ও বন্যশূকর দেখা যায়। কিন্তু চিতাবাঘের উপদ্রব ছিল না। আমাদের বাগানটি একেবারে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া। এখানে শ্রমিক মহল্লায় ঢুকে চিতাবাঘ বারান্দা থেকে ছাগল তুলে নিয়ে যাবে, এমনটা আমরা কখনও ভাবিনি। তাঁর দাবি, গত মঙ্গলবার রাতে ডাঙা লাইনে চিতাবাঘের হানার খবর চাউর হতেই গোটা বাগানে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যাঁদের বাড়িতে শিশুরা রয়েছে, তাঁরা সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বাগানে খাঁচা পাতা হয়েছে। কিন্তু যতক্ষণ না ওই খাঁচায় চিতাবাঘ ধরা পড়ছে, শ্রমিকরা পুরোপুরি আতঙ্কমুক্ত হতে পারবেন না।

    বাগানের ডেপুটি ম্যানেজার দীপক শর্মা বলেন, চিতাবাঘ ধরতে বনদপ্তর তাদের মতো করে পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমাদের যাঁরা নাইট গার্ড রয়েছেন, তাঁদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সকালে পাতা তোলার কাজ শুরুর আগে শ্রমিকরা যাতে চারদিক ভালোভাবে দেখে দেন, সেটাও বলেছি।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)