দেড় বছরেও চারটি পিলারের কাজ শেষ হয়নি, দ্রুত ব্রিজ চাইছেন হেমকুমারবাসী
বর্তমান | ৩১ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি: সেতু তৈরির সময়সীমা পার হলেও এখনও পর্যন্ত সেতুর কাজই শেষ হয়নি। যে কারণে অসন্তুষ্ট স্থানীয় বাসিন্দারা। হলদিবাড়ি ব্লকের হেমকুমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪ নম্বর সামিলাবস বালুরটারী গ্রামে বুড়ি তিস্তা নদীর উপর থাকা কাঠের সেতুটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থায় ছিল। গ্রামবাসীদের দাবি মেনে গতবছর পঞ্চায়েত ও গ্ৰামোন্নয়ন বিভাগ পাকা সেতু নির্মাণের কাজে হাত দেয়। বহু বছরের দাবি পূরণ হচ্ছে, এই আশায় বুক বেঁধেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনও সেতুর সবক’টি পিলারের কাজই শেষ হল না। হেমকুমারী গ্ৰাম পঞ্চায়েতের সীমান্ত ঘেরা এই গ্রামে প্রবেশ করতে হয় বুড়ি তিস্তা নদী পেরিয়ে। নদীটি বাংলাদেশ থেকে প্রবাহিত হয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের এখান মাত্র ৫০০ মিটার এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ফের বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এতেই পুরো গ্রামটি মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বাম আমলে কোচবিহার জেলা পরিষদের উদ্যোগে নদীর উপর কাঠের সেতু তৈরি করা হয়েছিল। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ বহুদিন হয়নি। নতুন সেতু বানানোর জন্য দু’বছর আগে কাঠের সেতু ভেঙে ফেলা হয়। এরপর যাতায়াতের জন্য বাঁশের একটি সাঁকো বানানো হয়। গতবছরই প্রায় ৭৯ মিটার লম্বা অংশে কংক্রিটের সেতু তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর জন্য রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের প্রায় ১০ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা বরাদ্দও হয়েছে। এখনও পিলার তৈরির কাজ করছে বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থা। চারটি পিলার তৈরি হবে। এখন চতুর্থ নম্বর পিলারের কাজ চলছে। কিন্তু সমস্যা হল ধীরগতির কাজ নিয়ে। বাসিন্দারা চাইছেন, দ্রুততার সঙ্গে কাজটা শেষ করা হোক। স্থানীয় বাসিন্দা দীননাথ রায় জানান, গতবছর ফেব্রুয়ারি মাসে সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। শিডিউল অনুযায়ী দেড় বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু কাজের সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও চার ভাগের এক ভাগ কাজও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি সংস্থা। ফলে এখনও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কাজের বরাত পাওয়া এজেন্সির ম্যানেজার মহাদেব দেবনাথ বলেন, কাজ চলছেই। আশা করছি, ছয়-সাত মাসের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হয়ে যাবে।  নিজস্ব চিত্র