• বেআইনি নির্মাণ ও ট্রাফিক ইশ্যুতে বিতণ্ডা, বোর্ড মিটিং থেকে ওয়াকআউট সিপিএমের
    বর্তমান | ৩১ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: বেআইনি নির্মাণ ও ট্রাফিক ইশ্যুতে তুমুল বাকবিতণ্ডা। তাই বোর্ড মিটিং থেকে ওয়াকআউট করলেন সিপিএম কাউন্সিলাররা। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে বামেদের এমন ভূমিকা নিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কটাক্ষ, ওয়াকআউটের নাটক করে শহরের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হওয়ার চেষ্টা করছে সিপিএম। ওদের জমানাতেই শহরে বেআইনি নির্মাণ বেশি হয়েছে। 

    বোর্ড মিটিংয়ের পর মেয়র গৌতম দেব বলেন, দীর্ঘদিন পুরবোর্ডে ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। ওদের সময়েই সবচেয়ে বেশি বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে অনেক কম। এটাই কাউন্সিলার বলতে চেয়েছিলেন। তাতে ‘গোঁসা’ করে সভাকক্ষ ত্যাগ করেছে সিপিএম। এর আগেও ওরা কয়েকবার এভাবে সভাস্থল ত্যাগ করেছে। সবটাই পুরবাসী দেখছেন। এতে শহরে ওরা আরও প্রাসঙ্গিকতা হারাবে। 

    এদিন পুরসভার ৪৫তম বোর্ড মিটিং হয় পুরভবনে। সভায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব হন সিপিএম কাউন্সিলার মুন্সি নুরুল ইসলাম। বলেন, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি নির্মাণ চললেও সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে অনেক জায়গা থেকে ফিরে আসতে হচ্ছে। তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়েই কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। 

    সেই সঙ্গে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে সরব হন সিপিএমের আরএক কাউন্সিলার শরদিন্দু  চক্রবর্তী। বলেন, ক্ষমতায় এসে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা চাঙ্গা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এই বোর্ড। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই সমস্যা মেটেনি। যানজট দিনকে দিন বাড়ছে। 

    সভায় এনিয়েই পাল্টা সিপিএম কাউন্সিলারদের আক্রমণ করেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার তথা ২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান আলম খান। তিনি বিগত বামফ্রন্ট জমানার পরিস্থিতি উত্থাপন করেন। তাঁর বক্তব্য, বেআইনি নির্মাণ ও ট্রাফিক ব্যবস্থা এখনকার সমস্যা নয়। এটা ওদের সময়কার। শহরকে ‘বরবাদ’ করে দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে টেবিল চাপড়ে তাঁকে সমর্থন করেন শাসক দলের কাউন্সিলাররা। এতে কার্যত ‘তেলে বেগুনে জ্বলে’ ওঠেন সিপিএম কাউন্সিলাররা। তাঁরা সুরসপ্তমে তোলেন। উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বাকবিতণ্ডা চলে। চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী চেষ্টা করেও সভাকক্ষ স্বাভাবিক করতে পারেননি। অবশেষে সিপিএমের চার কাউন্সিলার সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। 

    তৃণমূল কাউন্সিলাররা বলেন, সভা শেষ হয় ২টো ১০ মিনিট নাগাদ। আর সিপিএম সভাকক্ষ ত্যাগ করে ২টোয়। এটা ওদের নাটক। বিধানসভা ভোটের আগে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছে। 

    সিপিএম কাউন্সিলাররা অবশ্য বলেন, আবলতাবল কথা বলে শাসক দলের কাউন্সিলাররা সভাকক্ষ উত্তপ্ত করেন। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে এটা ওদের নয়া কৌশল।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)