একশো দিনের কাজে প্রাপ্ত টাকা ঢোকার সুবিধার্থে কেওয়াইসি যাচাই শ্রমিকদের, নেওয়া হচ্ছে সবার চোখের রেটিনার ছবি
বর্তমান | ৩১ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: আদালতের নির্দেশে ১০০দিনের কাজ নিয়ে মুখ পুড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। তিন বছর ধরে শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন না। যাঁরা কাজ করেছেন তাঁরাও টাকা পাননি। অবশেষে আদালতের গুঁতোয় কেন্দ্রীয় সরকার আবার প্রকল্প শুরু করতে চলেছে। কাজ করে টাকা পেতে শ্রমিকদের যাতে অসুবিধা না হয় তারজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করল রাজ্য। শ্রমিকদের কেওয়াইসি যাচাই করা হচ্ছে। চোখের রেটিনার ছবি নেওয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঠিক রয়েছে কি না, সেটাও যাচাই করা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পর রাজ্য সরকার বিকল্প ব্যবস্থা নেয়। শ্রমিকদের অন্য প্রকল্পের কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু, ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ করার পর বহু শ্রমিক টাকা না পাওয়ায় তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, প্রতিটি ব্লকেই কেওয়াইসি যাচাই করা হচ্ছে। কবে থেকে কাজ শুরু হবে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে জেলা প্রশাসন সব ব্যবস্থা করে রাখছে। শ্রমিকদের সঙ্গে দপ্তরের কর্মীরা যোগাযোগ করছেন। কেন্দ্রীয় সরকার অন্যায়ভাবে প্রকল্প বন্ধ রেখেছিল। বকেয়া টাকাও দিয়ে দেওয়া উচত। আবাস যোজনার টাকাও কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। রাজ্য এক্ষেত্রেও নিজে উদ্যোগ নিয়ে বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল একাধিকবার বিভিন্ন জেলা পরিদর্শনে এসেছিল। তারা সব পঞ্চায়েতে কাজের খুঁত পায়নি। ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজে অনিয়ম তারা দুটি পঞ্চায়েতে চিহ্নিত করেছিল। তারজন্য প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার যুক্তি নেই। এই প্রকল্প বন্ধ থাকায় গ্রামের অনেক কাজ থমকে গিয়েছে। বিশেষ ১০০ দিনের প্রকল্পে এক সময় সবুজায়নের কাজ দ্রুত গতিতে হয়। বিভিন্ন জায়গায় ভেষজ উদ্যানসহ স্থায়ী সম্পদ তৈরি হয়েছিল। সেসব কাজ অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে। শুধু পূর্ব বর্ধমান জেলায় শ্রমিকদের আট কোটির বেশি টাকা বকেয়া রয়েছে। স্থায়ী সম্পদ তৈরির জন্য অনেক সামগ্রী কিনতে হয়েছিল। সেই টাকাও বাকি রয়েছে। কেন্দ্রীয় বকেয়া মেটালে তাদেরও টাকা পেতে যাতে অসুবিধা না হয় তারজন্যও প্রশাসন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাদের অ্যাকাউন্টও যাচাই করা হচ্ছে। তবে কবে টাকা ঢুকবে এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা গিয়েছে।