নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রবীন্দ্র সরোবরকে ঘিরে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। রবীন্দ্র সরোবরে সোলার ইউনিট তৈরির ভাবনাচিন্তা চলছে। সেখানে যে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, তা থেকে সরোবরের ভিতরের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। পাশাপাশি রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অগুন্তি গাছ থেকে প্রতিদিন যে পাতা খসে পড়ে, সেগুলি প্রক্রিয়াকরণ করে অন্য কিছু করা যায় কি না, তা নিয়েও আলাপ-আলোচনা চলছে।
ইতিমধ্যেই রবীন্দ্র সরোবরে ড্রেজিং বা পলি তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই কাজের সমীক্ষা করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তারা যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তার উপর ভিত্তি করেই পলি তোলার জন্য গ্রিন ট্রাইব্যুনালের কাছে অনুমোদন চেয়েছে কেএমডিএ। কিন্তু এর বাইরেও রবীন্দ্র সরোবরকে ঘিরে অন্য কিছু চিন্তাভাবনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। লেকের ভিতরে যে বাতিস্তম্ভ বা সরোবর কর্তৃপক্ষের অফিস রয়েছে, সেখানে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এবং খরচ কমাতে সোলার প্যানেল লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের অপ্রচলিত শক্তি দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছে কেএমডিএ। যেহেতু রবীন্দ্র সরোবরের রাস্তাঘাট গাছে ঢাকা এবং প্রায় সব রাস্তাতেই ছায়া পড়ে, তাই বিভিন্ন লাইটপোস্টে সৌর আলো লাগালে তা কতটা কাজ
করবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সেকারণে প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, রবীন্দ্র সরোবরের ভিতরে নজরুল মঞ্চের ছাদেও সোলার প্যানেল লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে। সেই অনুযায়ী আলোচনা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। কীভাবে এই সোলার সিস্টেম লাগানো হবে বা বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট গড়ে তোলা যাবে, সে ব্যাপারে একটি সরকারি সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করানো হতে পারে। সরোবর চত্বরে প্রতিদিন গাছ থেকে বহু পাতা খসে পড়ে। সেই সমস্ত পাতা ও অন্যান্য বর্জ্যকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা
যায় কি না, তা নিয়েও পরামর্শ নিচ্ছে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। এক অফিসার বলেন, পাতা পচিয়ে সার বা অন্য কিছু
তৈরি করা যায় কি না, সেই সম্ভাবনাগুলি খতিয়ে দেখা
হচ্ছে। সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন হলে তা থেকেই রবীন্দ্র সরোবরের ভিতরের অংশে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। উদ্বৃত্ত হলে ওই বিদ্যুৎ বিক্রি করাও যেতে পারে। সেক্ষেত্রে লেকের জন্য বিদ্যুতের যে বিল আসে, সেই খরচ কিছুটা হলেও তুলে নেওয়া যাবে।