শহরে বাড়ল ডেঙ্গু সংক্রমণ, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ পুরসভার
বর্তমান | ৩১ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি বছর শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেকটাই কম। উৎসবের মরশুমে দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ডেঙ্গু নিয়ে সতর্ক থাকতে রীতিমতো নির্দেশনামা জারি করা হয়েছিল এবার। পুজোর সময় বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছিলেন পুর-স্বাস্থ্যকর্তারা। কিন্তু, ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির গ্রাফ দুর্গাপুজোর ষষ্ঠী পর্যন্ত মাত্রাতিরিক্ত ছিল না। অর্থাৎ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছিল, দুর্গাপুজোর মধ্যেও সেই ধারাই বজায় ছিল। কিন্তু, অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে দেখা যাচ্ছে, গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় সংক্রমণের হার বেড়েছে। যদিও এতে এখনই দুশ্চিন্তার কিছু দেখছেন না পুর স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁদের যুক্তি, সংক্রমণ বৃদ্ধির গ্রাফ আচমকা কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হলেও নাগালেই রয়েছে।
পুরসভার সর্বশেষ (১৯ অক্টোবর পর্যন্ত হিসেব) তথ্য বলছে, শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩২। আগের সপ্তাহে (১২ অক্টোবর পর্যন্ত) সংখ্যাটা ছিল ৮৩৯। অর্থাৎ নতুন করে শহরে ৯৩ জনের ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে সংক্রমণ বৃদ্ধির যে গ্রাফ, তা আচমকাই খানিকটা ঊর্দ্ধমুখী হয়েছে। পুজোর মধ্যেও তো বৃষ্টি হয়েছিল। সেক্ষেত্রে দশমীর পর যে সাপ্তাহিক রিপোর্ট মিলতে শুরু করেছে, তাতেই সংক্রমণ একটু ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে ধরা পড়েছে।’
মণ্ডপের বাঁশের মাথায় ও ত্রিপলের ভাঁজে যাতে জল না জমে, পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের তা খেয়াল রাখতে বলা হয়েছিল এবার। তারপরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে খামতি থেকে যাওয়ায় সংক্রমণ হার সামান্য বেড়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময় ডেঙ্গুবাহক মশার বংশবৃদ্ধির উপযুক্ত মরশুম। তাই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বাড়াও স্বাভাবিক। আক্রান্তের সংখ্যা গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি। এক পুর-স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ‘সংক্রমণ-বৃদ্ধি গত কয়েক মাস ধরে ৬০ থেকে ৭৫-এর মধ্যেই ঘোরাফেরা করছিল। সম্প্রতি ৪৮-এ নেমেও এসেছিল। সেটাই এক লাফে গত সপ্তাহে ৯০-এর বেশি হয়েছে।’