মাদ্রাসাকেও মানতে হবে সরকারি বিধি, যোগী সরকারের সিদ্ধান্তে সায় এলাহাবাদ হাই কোর্টের
প্রতিদিন | ৩১ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদ্রাসা বা সংখ্যালঘুদের নিজস্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণমুক্ত নয়। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকেও সরকারি আইন মানতে হবে। মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় সাফ জানিয়ে দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট।
সম্প্রতি গোরক্ষপুরের মাদ্রাসা আরাবিয়া শামসুল উলুম সিকারিগঞ্জ এহাতা নবাব নামের মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সহকারী শিক্ষক এবং এক জন করণিক নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। পরে উত্তরপ্রদেশ সরকার সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে দেয়। যোগী সরকার জানায়, ওই বিজ্ঞপ্তিতে মাদ্রাসা শিক্ষকের পদের জন্য সরকার-নির্ধারিত যোগ্যতামানের শর্তের কথা উল্লেখ নেই। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পালটা আদালতে যায়। তাদের যুক্তি মাদ্রাসা সংখ্যালঘুদের নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে নিয়োগের শর্তও ঠিক করার অধিকার মাদ্রাসার আছে। সেই মামলা গড়ায় এলাহাবাদ হাই কোর্ট পর্যন্ত।
সেই মামলায় হাই কোর্ট জানিয়ে দিল, ভারতীয় সংবিধান সংখ্যালঘুদের নিজস্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনার অধিকার দেয় ঠিকই। কিন্তু সেটা কোনওভাবেই সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত নয়। এলাহাবাদ হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, শিক্ষার উৎকর্ষ ও মান বজায় রাখার জন্য রাজ্য সরকারের বিধি এবং কাঠামোর মধ্যে থেকেই কাজ করতে হবে মাদ্রাসআগুলিকে। বিচারপতি মঞ্জুরানি চৌহান যোগী সরকারের সিদ্ধান্তেই সায় দিয়েছেন। তাঁর কথায়, সরকারি যোগ্যতামানের তোয়াক্কা না করে এভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা আসলে আইন ভাঙার সামিল।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ‘উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ড শিক্ষা আইন’ আনে মুলায়ম সিং যাদব সরকার। যোগী ক্ষমতায় আসতেই মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। বিদেশি অনুদান আসছে কি না, সমীক্ষা করে দেখে উত্তরপ্রদেশ সরকার। মাদ্রাসার সিলেবাস বদলেও উদ্যোগ নেয় শিক্ষা বিভাগ। এই আবহে একটি জনস্বার্থ মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষা আইনকে অসাংবিধানিক নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট। সেই রায় খারিজ করেছ্বে সুপ্রিম কোর্ট।