আদিবাসী গৃহবধূকে ধর্ষণ করে ভিডিও করার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ‘বিজেপি নেতা’
প্রতিদিন | ৩১ অক্টোবর ২০২৫
রাজকুমার কর্মকার, আলিপুরদুয়ার: আদিবাসী গৃহবধূকে ধর্ষণ করে সেই ভিডিও নিজের মোবাইলে তুলে রাখছিলো কীর্তিমান। বাধা দেওয়ায় ওই যুবতিকে মারধর করে প্রতিবেশী সেই যুবক। অভিযোগ পেয়েই শামুকতলা থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবকের নাম মহেন্দ্র চৌধুরী। এই ঘটনায় আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের যশোডাঙা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মারধরে জখম যুবতিকে প্রথমে যশোডাঙা ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে ।
এদিকে, নিগৃহীতা গৃহবধূর বাবার দাবি অভিযুক্ত যুবক স্থানীয় বিজেপি নেতা। নির্যাতিতা জুবতির বাবা জানিয়েছেন, “রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত সে। এখনও রাজনীতি করে। বিজেপির সঙ্গে যুক্ত সে।” তিনি জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেই মেয়ের বিয়ের জন্য জমি বিক্রি করেছেন। তাঁর দাবি, ওই জমি নিজের নামে করে দিতে বলে অভিযুক্ত যুবক। তিনি বলেন, “আমাকে কিছু করতে না পেরে আমার মেয়েকে মেরেছে।” যদিও অভিযুক্ত যুবকের বাবার দাবি ধর্ষণের কোনও ঘটনা ঘটেনি।
নিগৃহীতা যুবতির বাবা শামুকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগে বলা হয়েছে যে রাত সাড়ে এগারটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। সেই সময়ে ফাঁকা ঘরে একাই ছিলেন ওই যুবতি। সেসময় ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ক্যামেরায় সেই ছবি তুলে রাখে ওই যুবক। জানা গিয়েছে, ওই যুবতি চিৎকার করলে তাঁকে মারধর করা হয়। যুবতির বাম দিকের চোখের নিচে জখমের চিহ্ন রয়েছে। এদিন হাসপাতাল থেকেই নিগৃহীতা যুবতি বলেন, “আমি অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চাই। আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম।”
এই ঘটনার পরে অভিযুক্ত যুবকের বাবা বলেন, “আমাকে থানা থেকে ফোন করে বলা হয় আমার ছেলে ওই যুবতিকে মারধর করেছে। আমি এর বেশি কিছুই জানি না। জমি নিয়ে একটা বিবাদ ছিল। এর বেশি কিছু আমি জানি না।” এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই, পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।