• জোর করে নাবালিকার বিয়ের চেষ্টা বন্ধ করল পুলিশ
    আনন্দবাজার | ৩১ অক্টোবর ২০২৫
  • সমাজমাধ্যমে পরিচয়ের পরে নাবালিকা বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন এক তরুণ। গ্রামের মানুষ তাদের ধরে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। বিয়ের কাজ প্রায় শেষ হয়েও যায়। তবে রেজিস্ট্রি করার আগেই পুলিশ এসে বিয়ে বন্ধ করে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ে।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দিন চারেক আগে বছর চোদ্দোর কিশোরীর সঙ্গে সমাজমাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল বছর উনিশের এক তরুণের। এ দিন ওই তরুণ ভাঙড়ে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে আসেন। অভিযোগ, গ্রামের রাস্তায় তাঁদের ঘুরতে দেখে গ্রামবাসীদের একাংশ ধরে ফেলেন। জোর করে বিয়ের ব্যবস্থা করেন।

    গ্রামের লোকের চাপে পড়ে মেয়ের বিয়েতে রাজি হয়ে যান বাবা-মা। খবর পৌঁছে যায় তরুণের বাড়িতেও। তাঁদের থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে। পরে মেয়ের পরিবারকে থানায় ডেকে মুচলেকা লিখিয়ে নেয় পুলিশ। পাত্রপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ম্যারেজ রেজিস্ট্রার (কাজি) এবং গ্রামের কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

    এক জন অজ্ঞাতপরিচয় তরুণের সঙ্গে কী ভাবে গ্রামের মানুষ নাবালিকার বিয়ের তোড়জোড় করলেন, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ভাঙড়ের একটি স্কুলের শিক্ষিকা বলেন, “পুলিশকে সাধুবাদ জানাতে হবে যে, তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে পেরেছে। এ ভাবে এক জন অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের সঙ্গে নাবালিকার জোর করে বিয়ে দেওয়া হলে মেয়েটি বিভিন্ন ভাবে প্রতারিত হতে পারত। মেয়ের পরিবারই বা কেন রাজি হল, বুঝতে পারছি না। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।”

    নাবালিকার বাবা বলেন, “আমরা অত্যন্ত গরিব। গ্রামের লোক এবং কিছু আত্মীয় আমাদের নানা কথা বলেন। ভবিষ্যতে মেয়ের বিয়ে দিতে সমস্যা হতে পারে বলেন। সেই ভয়ে বিয়েতে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)